সান নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তুরস্কের আঙ্কারায় বহুল প্রতীক্ষিত এ বৈঠকটি হয়। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে কমছে জ্বালানি তেলের দাম
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বৈঠকে কোনো ফলাফল আসেনি। কারণ রাশিয়া ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানিয়েছে। যা ইউক্রেন কখনো মেনে নেবে না।
ইউক্রেন যুদ্ধ বিরতি ও মারিউপোলে মানবিক করিডোর তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো কিছু বলেননি।
তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ফের লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেন কূটনৈতিকভাবে চলমান এ দ্বন্দ্বের সমাধান করতে রাজি আছে। কিন্তু তারা রাশিয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না।
দিমিত্রো কুলেবা আরও জানিয়েছেন, এখন যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই। তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। যেহেতু রাশিয়া এ যুদ্ধ শুরু করেছে ফলে রাশিয়াকেই এটি বন্ধ করতে হবে। ইউক্রেন চাইলেও যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৯৭৪ ট্যাংক ধ্বংস
তবে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে ভিন্ন কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্টমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া তাদের দাবিগুলো ইউক্রেনের সামনে তুলে ধরেছে। তাছাড়া মানবিক করিডোরের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে।
এর আগে, ক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে পাল্টা হামলায় রাশিয়ার ৫ থেকে ৬ হাজার সেনা নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর দুই সপ্তাহের মাথায় মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের কাছে এই মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ড সফরে কমলা হ্যারিস
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে