আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম লাফিয়ে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে রাশিয়ান তেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার মধ্যেই গত ১৪ বছরের মধ্যে মূল্য সর্বোচ্চ হয়। এমন পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত তেল উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর তেলের দাম নিম্মমুখী হতে শুরু করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৬ দশমিক ৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১১ দশমিক এক ডলারে। অপরদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুয়েড অয়েলে দাম ১৫ ডলার কমে হয়েছে ১০৮ দশমিক সাত ডলার।
এদিকে সোমবার (৭ মার্চ) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হতেই জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার আগে থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছিল। তবে রাশিয়া আক্রমণ শুরু হলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পালে নতুন হাওয়া লাগে।
অবশ্য রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নিউইয়র্কভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া বলেছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে কোনো বাধা থাকবে না। তার মতে, ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্কিত খবরাখবরের জন্য তেলের বাজার খুবই অস্থির এবং সংবেদনশীল থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৪৫ কোটি ছাড়াল
অপরদিকে রাশিয়া আক্রমণ শুরুর অল্পসময়ের মধ্যেই বাজার বিশ্লেষকদের আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করতেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারে ওঠে যায়। এরপর প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই জ্বালানি তেলের দাম ২০ শতাংশের ওপরে উঠে যায়।
সাননিউজ/এমএসএ