আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ৩৩টি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিলো। কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে ছিলো পানশির। এই শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পানশিরও অবশেষে দখল করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আর এর মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তানের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার বরাত এ তথ্য নিশ্চত করা হয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক চার্লস স্টার্টফোর্ড বলেন, পানশিরে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। গত দুই ঘণ্টা যাবত সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। অঞ্চলটির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন এখানে আসি ব্যাপক ধোঁয়া দেখতে পায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেখানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী পানশির দখলের পথে রয়েছে। তারা বিদ্রোহীদের শেষ মুহূর্তের জবাব দিচ্ছেন।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর এই উপত্যকায় বসে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। তার সঙ্গে আছেন গনি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল বিসমিল্লাহ মোহাম্মদী ও আফগানিস্তানের প্রয়াত মোজাহিদীন কমান্ডার শাহ আহমদ মাসউদের ছেলে আহমদ মাসউদ।
গত কয়েকদিন আগে বিদ্রোহী গোষ্ঠী পানশির বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করেনি।
পানশির অন্যতম বিদ্রোহী নেতা আহমাদ মাসউদ বলেন, তালেবানের কাছে পানশির হস্তান্তর করা হবে না। তালে বান এই এলাকা দখল করতে চাইলে আমাদের বাহিনী তাদেরকে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।
এরপর বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেখানে হামলা শুরু করে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় আমরা অভিযান শুরু করেছি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা পানশিরে প্রবেশ করে অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সান নিউজ/এনএএম/এমএম