ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ইরানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৮০ আরোহীর একজনও বেঁচে নেই বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের ওই বিমানটি ১৮০ জন আরোহী নিয়ে তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। খবর: আল জাজিরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারী) দেশটির রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
প্লেনটিতে যাত্রী-ক্রু মিলে মোট ১৮০ জন আরোহী ছিল। প্লেনটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, সেই ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু'বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে তেহরানের কাছে ইউক্রেনের ওই যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক অস্থিরতার কোনো সম্পর্ক নেই। ইরানের তরফ থেকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।
বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ইরানের একটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এতে আগুন ধরে গেছে। বিমানটি উড্ডয়নের পর মাটি থেকে ৭ হাজার ৯২৫ ফুট ওপরে উঠেছিল। এরপর তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরের কাছেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ওই বিমানটিতে থাকা সব আরোহীই মারা গেছেন। বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি তেহরানের পারান্ড শহরতলীর কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট বলেছিল, জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
দুর্ঘটনার ভিডিও... https://twitter.com/isna_farsi/status/1214756225293979648
সান নিউজ/সালি