ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জানাযার নামাজে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে ইরানের ইসলামি প্রচার বিষয়ক সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নুসরাতুল্লাহ লুতফি। ইরাকের কাজেমাইন, বাগদাদ, কারবালা ও নাজাফ শহরে আলাদা আলাদাভাবে মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শহীদ কমান্ডারদের জানাযার নামাজ পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। দেশের শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বিকেলে জেনারেল সোলাইমানিসহ বাকি কমান্ডারদের লাশ তেহরানের দক্ষিণে অবস্থিত কোম নগরীতে নেয়া হয়। সেখানকার জানাযায়ও লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। আজ (মঙ্গলবার)জেনারেল সোলাইমানির ইচ্ছা অনুযায়ী তার জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে তার মরদেহ দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।
বিবিসি জানায়, সোলাইমানির জানাযা থেকে ট্রাম্পের মাথার মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে আট কোটি ডলার। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, দেশটির শীর্ষ জেনারেলকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের মাথার মূল্য ঘোষণাসহ হোয়াইট হাউজে হামলার হুমকিও দেয়া হয়েছে। জনতার হাতে শহীদ জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহানদিসের ছবি শোভা পাচ্ছিল না। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে হত্যা করব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন সেনাবাহিনী। ওই হামলায় ইরাকের শিয়াভিত্তিক সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ মোট ১০ জন নিহত হন।