আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। করোনা সঙ্কটের মধ্যেই নতুন করে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি নতুন পাকিস্তান গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু দেশের সামগ্রিক অবস্থা তাকে বেশ চাপে রেখেছে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি দেশটিতে ভয়াবহ সঙ্কট তৈরি করেছে। দেশটিতে চাল, ডাল, ডিম, সবজি সবকিছুর দামেই যেন আগুন লেগেছে।
বর্তমানে সেখানে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ রুপিতে। অপরদিকে এক কেজি চিনির দাম ১০৪ রুপি, এক কেজি গম ৬০ রুপি এবং এক কেজি আদার দাম এক হাজার রুপি। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া।
কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চিনির দাম কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিমের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এখন সেখানে প্রতি ডজন ডিম ৩৫০ পাকিস্তানি রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
পাকিস্তানে বর্তমানে ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। এ ধরনের মানুষের একটি বড় অংশেরই খাদ্য তালিকায় ডিমের প্রাধান্য থাকে। কিন্তু সেটাও এখন নাগালের বাইরে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই পাকিস্তানে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে। সে সময় ৪০ কেজি গম কিনতে দুই হাজার রুপি খরচ করতে হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে এই রেকর্ড ভেঙেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি গম বিক্রি হচ্ছে ৬০ রুপিতে অর্থাৎ ৪০ কেজি গমের দাম ২৪শ রুপি।
সান নিউজ/পিডিকে/এস