আন্তর্জাতিক

মার্কিন হামলায় ইরানের ‘জীবন্ত শহীদ’ সোলাইমানি নিহত

সান নিউজ ডেস্ক: ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের বিশেষ বাহিনী রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের কুদস শাখার প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সোলাইমানির গাড়ি বহর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

শুক্রবার ইরানের রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের পক্ষ থেকেও হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

হামলায় সোলাইমানিসহ নিহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে ইরানের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট (পিএমইউ)-এর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসর রয়েছেন।

বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে আগুন দেওয়ার দুই দিনের মাথায় মার্কিন বাহিনী এই পদক্ষেপ নিলো। দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ইরানের ওপর দায় চাপায় ওয়াশিংটন।

সোলাইমানি ইরানে হাজী কাসেম নামে পরিচিত। রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের কুদস শাখার কামান্ডার হলেও অলিখিতভাবে পদমর্যাদায় তিনি দেশের যে কোন কর্মকর্তার উপরে ছিলেন। প্রায় ২২ বছর ধরে ধীরে ধীরে এ বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি। বাহিনীর মূল কাজ ছিলো ইরানের বাইরে দেশটির সামরিক অবস্থা শক্তিশালী করা। এই ফোর্সর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ভারসাম্য আনতে সক্ষম হন সোলাইমানি।

কুদস ফোর্সের সাথে কাজ করছে প্যালেস্টাইনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ, লেবাননের হিযবুল্লাহ এবং ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি গ্রুপ। এই ফোর্সে কতজন যোদ্ধা রয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা কঠিন। ইসরায়েল ও সৌদি আরবসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০টি দেশে ছোটছোট যুদ্ধ লিপ্ত কুদ্স বাহিনী। যুদ্ধের সীমানাকে ইসরায়েলের সীমানায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন সোলাইমানি। এ কারণে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচে বড় শত্রুতে পরিণত হন তিনি।

সোলাইমানি তাঁর বাহিনীর কাজকর্মের জন্য জবাবদিহিতা করতেন একমাত্র দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে। ইরানের নিরাপত্তা রক্ষায় অসাধারন কর্মপন্থার কারণে জেনারেল সোলাইমানিকে ”অর্ডার অব জুলফিকার” পদক দেন খামেনি। ইরানের বিপ্লবের পর এই খেতাব প্রথম পান সোলাইমানিই। ইসরায়েল এবং পশ্চিমাদের প্রধান শত্রুতে পরিণত হওয়া সোলাইমানিকে যে কোন মুহূর্তে হত্যা করা হতে পারে, এ কারণে তাকে জীবন্ত শহীদও বলা হতো।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

ফের ৯৮ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

ফের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিম...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

চিকিৎসক নেতা নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বা...

ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না: দুদু

নির্বাচন হলে যাদের ভরাডুবি হবে তারাই নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বি...

রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার, ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলব

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ক...

প্রধান উপদেষ্টা নিজে ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: রিজওয়ানা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা...

জুলাই সনদে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ অবস্থান অস্পষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা