নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বেচ্ছাচারিতা-অনিয়ম আর দুর্নীতি থেকে কোনও উপায়েই বেরুতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে খাত। রেলের ইঞ্জিন, যন্ত্রাংশ ও কাঠের স্লীপার ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও এখনও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।
অবশ্য রেলমন্ত্রী বলেছেন, অভিযোগ মানেই দোষী নয়, প্রমাণ পেলেব্যবস্থা নেয়া হবে ।
ট্রেনের সেবার মান বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নে বড় বাঁধা রেলখাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি। এবার অভিযোগ উঠেছে, রেলের লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন), যন্ত্রাংশ ক্যারেজ মেরামত ও কাঠের স্লীপার ক্রয়ে অনিয়ম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেপ্টেম্বর মাসে রেলমন্ত্রণালয়ে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযোগ সমূহ- ১. তিন কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামত করা ইঞ্জিন ৩ মাসেই বিকল। ২. চলাচলের অনুপোযোগি ডেমু ট্রেন মেরামত বাবদ ১৯-২০ সালে খরচ দেখানো হয়েছে ৫ কোটি টাকা । ৩. এছাড়া লোকোমোটিভ পুণর্বাসনের নামে তিন কোটে টাকা লোপাট। ৪. নিন্ম মানের স্প্রিং বেশি দামে কেনা ও যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগের বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ আছে।
এসব অভিযোগের তীর রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুর উল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তার দপ্তরে গেলে কথা বলতে রাজী হননি। পরে তার দেখা পেলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান।
রেলমন্ত্রী জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা তদন্ত করবে তাদের স্বার্থ জড়িত কি-না সেদিকে গুরুত্ব দেয়া দরকার। তবে রেলমন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা থেকে রেলের মহাপরিচালকে তাগিদপত্র দেয়া হলেও এখনো মতামত আসেনি, সেইসাথে গঠিত হয়নি কোন তদন্ত কমিটিও।
সান নিউজ/এসএ/এস