ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আজারবাইজানের ১২ জন সাধারণ মানুষ নিহত
আন্তর্জাতিক

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আজারবাইজানের ১২ জন সাধারণ মানুষ নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে চলমান সংঘর্ষে আর্মেনিয়ার ছোড়া গোলায় আজারবাইজানের অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শনিবার আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় এই তথ্য জানিয়েছে। গ্যাঞ্জা শহরে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

আজারবাইজান জানিয়েছে, শনিবার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গ্যাঞ্জাতে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ছোড়া গোলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত হেনেছে।

আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের এক সহকারী হিকমত হাজিয়েভ টুইটারে জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে ২০টির বেশ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

এই হামলার বিষয়ে আর্মেনিয়ার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্যাঞ্জাতে শনিবার ভোরে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তৃতীয় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে কৌশলগত শহর মিঙ্গেসেভিরে। আজারবাইজান আর্মেনীয় বিদ্রোহীদের রাজধানী স্টেপানাকার্টে গোলা নিক্ষেপ করার কয়েক ঘণ্টা পর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

এএফপি প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। কালো ব্যাগে মরদেহ নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। হামলায় কয়েকটি বাড়ি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।

তারা আরও জানান, হামলার পর মানুষ এলোপাতাড়ি ছুটছিল। কেউ কেউ নিজেদের ঘুমের পোশাক পরে দৌড়ে বের হন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি শিশু, দুই নারী ও চার পুরুষকে বের করতে দেখে দেখেছেন। তিনি বলেন, আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। শিশুরা টিভি দেখছিল। আমাদের আশেপাশের সব বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ রয়েছে। অনেকে মৃত, কয়েকজন আহত।

শনিবারের হামলার ৬ দিন আগে গ্যাঞ্জা শহরের আরেকটি এলাকাতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছিল। ওই হামলায় ১০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।

নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়। গত কয়েক দিনের সংঘাতে ৩ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। রুশ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দুই পক্ষ মস্কোতে অস্ত্রবিরতির আলোচনায় সম্মত হয়। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরপরই উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে এবং পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র : বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোরআন-সুন্নাহর শাসনই চূড়ান্ত লক্ষ্য: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বল...

সচিবালয়ের পথে শিক্ষকরা, কর্মবিরতি গড়াল দ্বিতীয় দিনে

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বেসরকারি এ...

মিডিয়ার হাতে গোপনীয়তা খুন!

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া অভিযোগ করেছেন,...

স্বাধীনতার কোনো মূল্য হয় না; এটা অমূল্য

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পাওয়া ফ...

বিচার ব্যবস্থায় নতুন যুগ, শুরু অনলাইন জামিননামা কার্যক্রম

হয়রানির অবসানে জামিন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে প্রযুক...

এবার পরিবার নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন রিপন মিয়া

আলোচনার কেন্দ্রে থাকা কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া এবার মা, স্ত্রী ও সন্তানদের...

শিপ ব্রেকার্স নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই কমিশনের পদত্যাগ

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) বহুল আ...

ঢাকা কলেজের ঐতিহ্য রক্ষায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ১০ দাবি

ঢাকা কলেজের ঐতিহ্য রক্ষা এবং ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত খসড়া অধ্...

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার এখন রশিদ খান 

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডের বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল...

চলমান চাকসু নির্বাচনে কর্মকর্তার সই ছাড়াই ৪০০ ব্যালট বাক্সে

চাকসু নির্বাচনে বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের নির্বাচন পর্যবেক্ষক তৌহিদ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা