আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় জিম্মি চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দেশটির হাজার হাজার নাগরিক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩১৩৭
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা ‘এখনই নির্বাচন’ এবং ‘ইলাদ, আমরা দুঃখিত’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলো। পরে পুলিশ জোরপূর্বক তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি খুব জোরালো হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বেশ চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহু।
গাজায় যারা জিম্মি হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা হামাস এবং তার সহযোগীদের কাছে গাজায় জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে মুক্ত করতে সরকারের অক্ষমতায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন : ফিলিপাইনে গরমে স্কুল বন্ধ
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় ইলাদ কাতজিরকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার আইডিএফ তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। জানুয়ারিতে জিম্মিদের নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাকে জীবিত দেখা যায়।
নাওম পেরি নামের এক বিক্ষোভকারী জানান, ইলাদ কাতজির বন্দীদশায় তিন মাস বেঁচে থাকতে পেরেছিলেন। আজ আমাদের সঙ্গে তার থাকা উচিত ছিলো। সে আজ আমাদের সাথে থাকতে পারতো।
আয়োজনকারীরা বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রায় ৫০টি স্থানে সমাবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে সরকারবিরোধী ধারাবাহিক সমাবেশগুলোয় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে যে, তিনি বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, তিনি হয়তো বাকি জিম্মিদের আর মুক্ত করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : ত্রাণকর্মীদের হত্যার তদন্ত চায় জাতিসংঘ
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিআইএ ডিরেক্টর বিল বার্নস এবং কাতারি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি মিশর, ইসরায়েল এবং হামাস থেকে আসা আলোচকদের সঙ্গে বসবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারপর থেকে ছয় মাস ধরে সেখানে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এমআর