ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য

প্রতি ৪ মিনিটে এক মৃত্যু! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ ৩ বছর পর বিশ্বব্যাপী কোভিড জরুরি অবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলেও প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখনও প্রতি ৪ মিনিটে অন্তত একজনের মৃত্যু হচ্ছে।

আরও পড়ুন : সৌদিতে পৌঁছেছেন ৬৯৬৭ হজযাত্রী

বুধবার (২৪ মে) প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

সংক্রামক এ ভাইরাসকে ঠিক কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেটি এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। এতেই দুর্বল মানুষ এবং কম টিকাপ্রাপ্ত দেশগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

আরও পড়ুন : কাজী নজরুল ইসলাম’র জন্মদিন

ব্লুমবার্গ বলছে, বেশিরভাগ মানুষের জন্য করোনা ভাইরাসের হুমকি কমলেও বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যার একটি অংশের জন্য এখনও অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসেবে রয়েছে গেছে। তাই ভাইরাসটিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ বা মোকাবিলা করা যায় তা বর্তমানে বড় ধরনের প্রশ্ন হিসেবে উঠে এসেছে।

জনসংখ্যার যে অংশের জন্য কোভিড এখনও বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে, তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা জানা না গেলেও সংখ্যাটি অনেকের উপলব্ধির চেয়ে অনেক বেশি। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিড এখনও নেতৃস্থানীয় পর্যায়েই রয়ে গেছে।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রশংসা

গত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের পর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অর্থাৎ মৃত্যুর কারণ হিসেবে গত বছর দেশটিতে কোভিড ছিল তৃতীয় অবস্থানে।

মৃত্যুর অন্যান্য সাধারণ কারণ যেমন ধূমপান এবং সড়ক দুর্ঘটনার মতো নিরাপত্তা আইনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হলেও করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরা ক্ষতি কমানোর উপায়গুলোর দিকে তেমন মনোযোগ দিচ্ছেন না। বাধ্যতামূলক টিকা বা মাস্ক পরার কথাও এখন আর গুরুত্ব দিয়ে বলা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন : বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বেজুড়ে প্রতি ৪ মিনিটে একজন করে কোভিড আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটছে। মৃতদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি রয়েছেন বয়স্করা। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

যদিও করোনা মহামারি পেছনে ফেলে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে করোনা মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও)। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

আরও পড়ুন : মারাত্মক মহামারি আসছে

করোনায় প্রথম মৃত্যুও ঘটেছিল চীনে। এরপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ঐ বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছিল ডব্লিউএইচও।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ কমে আসায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন : টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

তবে সংক্রমণ কমলেও বিশ্বজুড়ে এখনও প্রতিদিনই বহু মানুষ মারা যাচ্ছে করোনায়।

৭৬ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে নিজের রিপোর্ট পেশ করার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলছেন, বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়। বিশ্বে করোনা ভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে, যা নতুন করে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে। সেই সাথে নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার মারাত্মক হুমকি এখনও রয়ে গেছে।

আরও পড়ুন : দেবে যাচ্ছে নিউইয়র্ক শহর!

মিসৌরির ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স সেন্ট লুইস হেলথ কেয়ার সিস্টেমের ক্লিনিকাল এপিডেমিওলজি সেন্টারের পরিচালক জিয়াদ আল-আলী বলেন, বর্তমান বিশ্বের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে মহামারিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া এবং কোভিডকে আমাদের পেছনে রাখা। কিন্তু এই সমস্যাকে স্বীকার করতে অনিচ্ছুক আমরা। কোভিড এখনও অনেক লোককে সংক্রমিত করছে এবং মৃত্যু ঘটাচ্ছে। আমাদের কাছে এটি কমিয়ে আনার উপায়ও রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে দীর্ঘ পরিকল্পনা নেওয়া উচিত ছিল, তা গ্রহণ করা হয়নি। সেই সাথে রয়েছে মানুষের একাংশের মাস্ক পরা ও টিকা নেওয়ার অনীহা।

আরও পড়ুন : যেসব অঞ্চলে ঝড় বয়ে যেতে পারে

২০২১ সালে ইমিউনাইজেশনের অভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখেরও বেশি কোভিডে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অর্থাৎ আক্রান্ত প্রতি ২ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়। যদি টিকা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হতো, তাহলে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় রাশ টানা যেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, যে কোনও উন্মুক্ত স্থান এখনও কোভিড সংক্রমণের সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো কেন্দ্রগুলোও। এ ব্যাপারে সচেতন না হলে স্থায়ীভাবে কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।

আরও পড়ুন : স্বল্প দূরত্বে ফ্লাইট চলাচল নিষিদ্ধ

চীনের উহানের ল্যাব থেকে কোভিড ভাইরাস ছড়িয়েছিল বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ব্যাপারে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাওয়া হলেও দেশটি তা দিতে অস্বীকার করে। এ ধরনের মানসিকতা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বকে পুরোপুরি কোভিডমুক্ত করতে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

স্বাধীনতা দিবস ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ 

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

লক্ষ্মীপুরে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ 

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু 

মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:...

রামগড়ে গাঁজাসহ আটক ১

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির রামগড়ে আট...

ত্রিশালে নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করছে কিশোর গ্যাং

মো. মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার...

গাজীপুরে ফের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর...

আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এল...

শাকিব খানের জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক: আজ ঢালিউড কিং শাকিব...

রাসেল-শামিমার বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা...

দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা