স্বাস্থ্য

এক দশকে যক্ষ্মায় মৃত্যু অর্ধেকেরও নিচে নেমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ব্যবস্থাপনায় গত এক দশকে প্রায় ১০ লাখ যক্ষ্মা রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে একদিনের জন্যও যক্ষ্মা শনাক্তকরণ ও রোগীর চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ হয়নি।

২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে বাংলাদেশে নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪০ জন। ২০১০ সালে দেশে এ রোগে আনুমানিক মৃত্যু ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জন। বর্তমানে এটি কমে প্রতি লাখে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসায় নিরাময়ের হার গত ১০ বছরে ৯৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

অধিদফতর জানিয়েছে, ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসা বাংলাদেশে সফলভাবে শুরু হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসা ব্যয় এক-চতুর্থাংশ কমে এসেছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসায় বেডাকুইলিন ও ডেলামানিড ব্যবহার করা হচ্ছে। বছরে প্রায় ৩৫ হাজার শিশুকে ৬ মাস মেয়াদী টিবি প্রিভেন্টিভ থেরাপি দেওয়া হয়। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদেরও একই সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বিনামূল্যে রোগ শনাক্তকরণ ও ওষুধ সরবরাহ ছাড়াও দরিদ্র রোগীদের সাইকো কাউন্সিলিং ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। ২০১৭ সাল থেকে যক্ষ্মার চিকিৎসায় প্রথম সারির ওষুধ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে কেনা ও সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য দেশে যক্ষ্মারোগী, মৃত্যু ও সংক্রমণের হার এমন পর্যায়ে কমিয়ে আনা, যাতে এটি একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত না হয়। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি নতুন কৌশল অনুমোদন করে, যাতে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে যক্ষ্মায় মৃত্যুহার ৯০ শতাংশ কমানো (২০১৫ সালের তুলনায়) এবং নতুনভাবে সংক্রমিত যক্ষ্মা রোগীর হার ৮০ শতাংশ (২০১৫ সালের তুলনায়) কমিয়ে আনা যায়।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (এমবিডিসি) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনে যক্ষ্মার প্রায় ৮১ শতাংশ রোগী শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। যক্ষ্মা নির্ণয় পরবর্তী সব রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। নিয়মিত ওষুধ সেবন নিশ্চিতে প্রতিটি রোগীর সঙ্গে একজন ডটস্ প্রোভাইডর নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত বেড়েছে এবং মৃত্যুহার কমেছে। বিনামূল্যে রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসাসেবায় ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট কক যক্ষ্মা রোগের জীবাণু ‘মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস’ আবিষ্কার করেন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আবিষ্কারের ১০০ বছর পর অর্থাৎ ১৯৮২ সাল থেকে ২৪ মার্চকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জায়েদের ফোন পানিতে ছুড়ে ফেললেন সাকিব

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার (১লা মে) বেশ কিছু খ...

শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করলে ছাড় নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শ...

ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ৫

জেলা প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাকচাপায় প্রাইভেটকারের...

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল কলম্বিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার প্...

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধানীর...

আজ সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হাইকোর্ট...

রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত

জেলা প্রতিনিধি : রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা