বিনোদন ডেস্ক: বিশাল করে এই শিরোনাম দিয়ে লেখা হয়েছিলো 'সাপ্তাহিক সিনেমা'র প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে ঢাকার একজন প্রযোজক তার সঙ্গে যে কথা বলে এসেছিলেন, সেটার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিলো সেই সচিত্র প্রতিবেদন।
মৃণাল সেন এর কর্মশালায় অংশ গ্রহণের সময় থেকেই 'আকালের সন্ধানে' দেখে তার অভিনয়ের ভক্ত অনেকেই। সব ধরণের ছবিতেই অভিনয়ে তিনি ছিলেন অনবদ্য। স্মিতা পাতিলের জন্ম পুনেতে। সেখানে রেণুকা স্বরূপ মেমোরিয়ালে পড়াশোনা করেন তিনি। পুনেতে অবস্থিত ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
পুনে ইন্সটিটিউটের সে সময়ের ছাত্র, প্রখ্যাত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার বাইরে প্রচুর পড়তেন স্মিতা পাতিল। ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ছাত্র অরুণ খোপকারের 'স্টোরি ফিল্ম', 'তীব্র মধ্যম' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন স্মিতা পাতিল। সে সময় প্রথম বর্ষের ছাত্র জাকি অনানুষ্ঠানিকভাবে এই ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্মিতা পাতিল প্রথম দর্শকের সামনে আসেন, ভারতের 'দূরদর্শণ' এর সংবাদ পাঠিকা হিসেবে। পাশাপাশি তিনি আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার সময় শ্যাম বেনেগাল তাকে আহবান জানান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত 'চরণদাস চোর' স্মিতা পাতিলের প্রথম ছবি। অভিনয়, স্টাইল, সামাজিক দায়বদ্ধতা স্মিতা পাতিলকে দ্রুত খ্যাতি এনে দেয়।
১৯৮৪ সালে কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর সদস্য হন স্মিতা পাতিল। ভারতের পদ্মশ্রী পদক প্রাপ্ত এই শিল্পীর মুখাবয়ব দিয়ে ভারতীয় ডাকবিভাগ একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। সমান্তরাল সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী স্মিতা পাতিল ১৯৮৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর মাত্র ৩১ বছর বয়সে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: তক্ষশীলা
সান নিউজ/এফএইচপি