ইবি প্রতিনিধি: আমাকে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো ৪-৫ বছর থাকতে হবে! এভাবে হয়তো ঝামেলাটা আরও বাড়তে থাকবে, যা আমি চাচ্ছি না। পরে তাদের সাথে (ছাত্রলীগ) আরও কিছু হবে, দরকার কি! রাতভর নির্যাতনের শিকার হয়ে দেয়া অভিযোগপত্র পরদিনই উইথড্র করে নিয়ে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্র।
সেই সাথে নির্যাতনের বিষয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তাকে ডাকলেও সে ডাকেও সাড়া দেননি তিনি। পরে বাড়ি চলে যায় সে।
অভিযোগ দেয়ার পরেও তা তুলে নেয়ায় ক্যাম্পাসে নানান গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চাপের মুখে পড়ে তা উইথড্র করে নেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে উইথড্র করলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এন্টি র্যাগিং ভিজিল্যান্স টিমের আহবায়ক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।
জানা যায়, গত রোববার রাতে লালন শাহ হলের গণরুমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী দ্বারা মারধর ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২০ জুন) অর্থাৎ পরদিন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় সে। অভিযোগপত্রে মারধর করার সাথে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
তবে অভিযোগ দেয়ার পরদিনই সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করতে পুনরায় লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগী। আবেদন শেষে নিজ বিভাগে সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে যান। তবে পরীক্ষা শেষে ভুক্তভোগীকে হল থেকে নিয়ে আসতে দেখা যায় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সম্পদক অনুসারী ফাহিম ফয়সালকে।
এদিকে অভিযুক্ত চারুকলা বিভাগের আফিফ ও তন্ময়ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে। এর আগে নিজ রুমে প্রাথমিকভাবে বিষয়টির মীমাংসা করেন সাধারণ সম্পাদক।
পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্র অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিন বিকেলেই তাকে ডেকে কথা বলেন তিনি। তারপরদিন সেই অভিযোগপত্রটি তুলে নিতে আবেদন করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলীনা নাসরীন বলেন, যদি ভুক্তভোগী অভিযোগ তুলে নেন তাহলে অভিযোগ বাতিল হবে।
তবে যেহেতু একটা অভিযোগ এসেছে নিশ্চয় কোন না কোন কারণ আছে। ব্যাপারটা একবারেই ছেড়ে দিচ্ছি না। ক্যাম্পাস খুললে আবার এটি নিয়ে আমরা বসবো।
সান নিউজ/এইচএন