নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ রোববার (১৪ নভেম্বর) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এবং প্রতি বিভাগে তিন বিষয়ে (নৈর্ব্যক্তিক) পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম দিন সকালে হবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা।
আগামীকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মানবিকের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং বিকালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা। এবার সর্বমোট পরীক্ষা দিচ্ছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ শিক্ষার্থী।
বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, শনিবার করোনা আক্রান্ত আর হাত-পা ভাঙা রোগীরা বিশেষ অনুমতি নেওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছে। ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, শনিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত একজন করোনা রোগী ও ৭-৮ জন হাত ভাঙা রোগী এসেছে, যারা বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দিতে চান। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, হাত ভাঙা রোগীরা প্রতিবন্ধীর মর্যাদায় শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে। তবে সর্বোচ্চ অষ্টম শ্রেণি পাশ শিক্ষার্থীদের শ্রুতিলেখকের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আর করোনা রোগীরা আইসোলেশনে থেকে পরীক্ষা দিতে পারবে।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসএসসিতে অংশ নিচ্ছে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন। এছাড়া দাখিলে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন পরীক্ষার্থী আছে। পাশাপাশি বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিচ্ছে। সারা দেশে এসএসসিতে ৩ হাজার ৬৭৯টি, দাখিলে ৭১০টি এবং এসএসসি ভোকেশনালে ৭৬০টি কেন্দ্র আছে। গত বছরের চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫১টি আর কেন্দ্র ১৬৭টি বেড়েছে।
নকলমুক্ত ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে ইতঃপূর্বে ৯ দফা নির্দেশনা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্নফাঁস রোধে মুদ্রিত প্রশ্নপত্রের সবকটি সেট ট্রেজারি থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিতে বলা হয়।
সান নিউজ/এনকে