শিক্ষা

চমেক সংঘর্ষে দুইজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

তাঁরা হলেন রক্তিম দে (২১) ও এনামুল হোসেন ওরফে সীমান্ত (২১)। দুজনই চমেক এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা ১১ ও ১৫ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।

শনিবার সকালে ক্যাম্পাসে মাহাদি জে আকিব নামের এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়। আকিব বর্তমানে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন আকিবের ভাই তৌফিকুর রহমান।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, আকিবকে মারধরের ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা মেডিকেলের ছাত্র। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাতে ও শনিবার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে এই মারামারি হয়। এই দুই নেতার অনুসারীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও।

মেডিকেল কলেজের সংঘর্ষে মাহফুজুল হক, নাইমুল ইসলাম ও মাহাদি জে আকিব নামে তিনজন আহত হয়। তাঁরা চমেকে চিকিৎসাধীন। মাহাদি জে আকিব মহিবুল হাসানের অনুসারী, আর অপর দুজন নাছিরপন্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আহতরা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মাহাদির মাথা ফেটে গেছে। তাঁর জরুরি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল কাদের বলেন, মাহাদি জে আকিবের অস্ত্রোপচার হয়েছে। মাথার হাড় ও ব্রেনে ইনজুরি আছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে। রাতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহফুজুল হক ডাইনিংয়ে খেয়ে নিজের কক্ষে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েকজন কটু মন্তব্য করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলামকে মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী পক্ষ মারধর করে। এর জের ধরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে মহিবুল হাসানের অনুসারীদের দুটি ও প্রতিপক্ষের অনুসারীদের একটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত করে।

কলেজের অধ্যক্ষ শনিবার দুই পক্ষের পাঁচজন করে প্রতিনিধিকে নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এ সময় মহিবুল হাসানের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মাহাদি জে আকিবকে ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় ধরে মারধর করে প্রতিপক্ষ। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। অধ্যক্ষ এ সময় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক সাদেকুর রহমান (তদন্ত)বলেন, রাতে ছাত্রাবাসে সমস্যা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার কলেজের সামনে ফুটপাতে অন্য পক্ষের একজনকে মারধর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা