শিক্ষা

মাদ্রাসা কারিকুলাম পরিমার্জনসহ ৯ সুপারিশ এনসিটিবি’র

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মীয় শিক্ষার গভীরতা ও ব্যাপ্তি বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করাসহ ৯ দফা সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির প্রস্তাবিত প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা যাচ্ছে পাঠ্যবই সংক্রান্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটিতে (এনসিসিসি)।

সবার জন্য বৈষম্যহীন, মানসম্মত এবং সমগ্রহণযোগ্য শিক্ষা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে প্রণীত শিক্ষাক্রম রূপরেখায় সব ধারার শিক্ষায় ন্যূনতম অবশ্য অর্জনীয় দক্ষতাগুলো নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এনসিটিবির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান।

এনসিটিবির নতুন কারিকুলাম রূপরেখার ২.১৯ অনুচ্ছেদে মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়ে ৯ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো- এক. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করা।

দুই. ধর্মীয় শিক্ষার গভীরতা ও ব্যাপ্তি বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করা। তিন. শিক্ষাক্রম রূপরেখায় বর্ণিত মূল্যবোধ, গুণাবলি, দক্ষতা, যোগ্যতা ও মূলনীতি অনুসরণ করে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন। চার. সকল শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাক্রম রূপরেখায় বর্ণিত ১০টি মূল যোগ্যতা অর্জনের ব্যবস্থা করা।

পাঁচ. সাধারণ বা অন্যান্য শিক্ষাধারার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার বিদ্যমান বৈষম্য (বিষয়, বিষয়বস্তু, নম্বর, সময়, ভর ইত্যাদি) কমিয়ে এনে যুগোপযোগীকরণের মাধ্যমে অন্যান্য ধারার সঙ্গে সমযোগ্যতা ও সমগ্রহণযোগ্যতা যেন নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে পরিমার্জনের উদ্যোগ নেওয়া।

ছয়. পরিবর্তনশীল কর্মবাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের ব্যবস্থা করা। সাত. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সার্বিকভাবে সুস্থ ও ভালো থাকার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ রাখা।

আট. স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সাধারণ শিক্ষায় প্রস্তাবিত প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মৌলিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য অভিন্ন শিক্ষাক্রম ও বিষয় চালুর প্রায়োগিক ধারণাটি বিবেচনা করা। শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ইত্যাদি ধর্মীয় নীতি নির্দেশনা ও ভাবগাম্ভীর্যের আলোকে সংযুক্ত করা এবং চর্চার সুযোগ দেওয়া।

নয়. বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল সমন্বয়ের মাধ্যমে শিখন কার্যক্রম আনন্দদায়ক, অংশগ্রহণমূলক, অভিজ্ঞতাভিত্তিক এবং বহুমুখী করা। একই সঙ্গে যোগ্যতা ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি শিখনকালীন ধারাবাহিক মূল্যায়নকে গুরুত্ব দক্ষতা ও যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়ন চালু করা।

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, মাত্রা বিভিন্ন হলেও পরিবর্তনশীল পৃথিবী এবং বিশ্বায়নের যুগে সুযোগ এবং সম্ভাবনার যেমন সাধারণীকরণ হয়েছে, তেমনি সবার সামনের চ্যালেঞ্জ ও বাধাগুলোর ধরনও এক। ন্যূনতম অবশ্য অর্জনীয় দক্ষতাগুলো না থাকলে সেসব চ্যালেঞ্জ ও বাধা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শাপলা নয় এনসিপিকে বালতি-বেগুনসহ ৫০ প্রতীকের অপশন

শাপলা প্রতীক নয় বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এন...

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯৬

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এইডস ম...

আ. লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজ...

লুটপাটের ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা 

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধ...

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক, নিরাপত্তার দাবি জামায়াতের

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনায় ইসরায়েলের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা