টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে হত্যা-মাদক ঠেকাতে ৬টি ক্যাম্পে 'অপারেশন রুট আউট' নামে এক চিরুনি অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ৪১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
আরও পড়ুন: একদিনেই সুস্থ প্রায় ৪ লাখ
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত উখিয়ার ৬টি ক্যাম্পে এপিবিএন-৮ এবং ১৪ যৌথভাবে অভিযান চালায়।
আটককৃতদের মধ্য ৬ জন হত্যা মামলার আসামি এবং ৩ জনকে মাদকসহ আটক করা হয়। এছাড়া অন্যান্য মামলার আসামি ছিল ৪ জন। বাকি ২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে মোবাইল কোর্টে সাজা প্রদান করা হয়।
শনিবার সকালে ৮-এপিবিএন এর সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একের পর এক টার্গেট কিলিং হচ্ছে। গত চার মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছয় মাঝিসহ অন্তত ২০ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্য সাতজন স্বেচ্ছাসেবক। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুই রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। এবার টার্গেট কিলিং ঠেকাতে ক্যাম্পে 'অপারেশন রুট আউট' নামে যৌথভাবে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আরও পড়ুন: ‘জেলহত্যা দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি
এপিবিএন জানিয়েছে, ক্যাম্পে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফরের নেতৃত্ব পুলিশের টিম ক্যাম্প-১৩, ১৮, ১৯, ১৭, ২০ ও ২০ এক্সটেনশন এ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য 'অপারেশন রুট আউট' নামে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথম দিনের অভিযানে ৪১ জন অপরাধীকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, ৬টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে 'অপারেশন রুট আউট' নামে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় হত্যা-মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত ৪১ জনকে আটক করা হয়। তাদের ওই মামলা দেখিয়ে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭২
তিনি বলেন, কিছু অপরাধী ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনও অপরাধী ছাড় পাবে না। ক্যাম্প পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এপিবিএন সদস্যরা।
সান নিউজ/এসআই