নিজস্ব প্রতিনিধি, ফেনী: ফেনীর সোনাগাজী এলাকায় নিজের আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ইমাম হোসেন মিসকিন নামের এক যুবদল নেতাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে ফেনী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত মিসকিনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজবাড়ী ফেনীর সদর উপজেলা থেকে ৪৫ বছর বয়সী ইমাম হোসেন মিসকিনকে গ্রেফতার করে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ। ইমাম হোসেন মিসকিন সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বাড়ি সোনাগাজীর চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারি গ্রামে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নির্যাতিত শিশুটি নানার বাড়িতে থেকে একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গত ২৭ জানুয়ারি শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে শিশুটির মা পরদিন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন। কিন্তু সময়ক্ষেপণ করে সেটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
পরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানায় ইমামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা করেন তার শিশুটির মা। মামলায় ইমাম ছাড়াও চর দরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালামকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম বলেন, ঘটনার পর ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়ায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম ২২ ধারায় শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মর্মবেদনা আমরা বুঝি
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার মিসকিনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় সাত মাস কারাগারে থেকে তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান।
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার পরপরই ইমামকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সান নিউজ/এমকেএইচ