নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার বেড়া উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে (৩২) ফের বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় এনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে গ্রেফতার এড়াতে চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাবনা জেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর আদাবর থানায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এর আগে ওই দিন ভোরে থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। অভিযুক্ত ফারুক হোসেন পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ফারুক হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের ডিভোর্স হয়। পরে গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) তাকে আবারও বিয়ে করার প্রলোভনে রাজধানীর আদাবরে ১০ নম্বর রোডের একটি বাসায় এনে ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখান চেয়ারম্যান ফারুক। এক পর্যায়ে ওই নারীকে একা ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী শনিবার (২ অক্টোবর) ভোর রাতে ডিএমপির আদাবর থানায় অভিযোগ দিলে এসআই মাধব চৌধুরী ওই নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয় বলে নিশ্চিত করেন ঢামেক ওসিসির সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম।
সান নিউজ/এমকেএইচ