অপরাধ

কেয়া কসমেটিকস মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের বিরুদ্ধে প্রায় ১৮৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা দায়ের করেন। পাঁচ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ ( ২ ) ও ২৭ ( ১ ) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়েছে, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। যা যাচাই-বাছাই করে ৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৮৭ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বৈধ আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১৩৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯ হাজার ২৪৫ টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। যা অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আব্দুল খালেক পাঠান , তার স্ত্রী , এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাদের নামে পৃথক পৃথক পাঁচটি সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদক সচিব বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি।

তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধানকালে সংগৃহিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে আবদুল খালেক পাঠান তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন।

কিন্তু যাচাইকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচন করে মোট ৪৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৪২৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তিনি ৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

এদিকে আব্দুল খালেক পাঠানের স্ত্রী ও কেয়া কসমেটিকসের পরিচালক মিসেস ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা এনেছে দুদকের অপর মামলায়।

এছাড়া ২০১৯ সালের ২৩ জুন দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে দুদক ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন অভিযোগ আনা হয়েছে।

একইভাবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের পরিচালক ও আব্দুল খালেকের ছেলে মো. মাসুম পাঠানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৫ টাকার সম্পদের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছে। মাসুম পাঠান ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছিলেন।

অন্যদিকে আব্দুল খালেক পাঠানের মেয়ে ও কেয়া কসমেটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস খালেদা পারভীনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ৩৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় এছাড়া বৈধ আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৩৫ লাখ ৫১ হাজার ১৮০ টাকার সম্পদের মালিকানার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

একইভাবে তার অপর মেয়ে ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের পরিচালক মিসেস তানসীন কেয়ার নামে ১৬ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় পঞ্চম মামলাটি করেছে দুদক। এছাড়া তানসীনের ঘোষিত সম্পদ বিবরণীতে ২৫ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার ১১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়েছে।

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা