হাফিজা খাতুন ও তার ছেলে হোসাইন
অপরাধ

স্বামী হত্যা মামলায় বাদী থেকে আসামি

প্রতিপক্ষকে আসামি করে স্বামী হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে তদন্তে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার আলগী ইউনিয়নের চরকান্দা গ্রামের ঘটনা। খুন হওয়া ব্যক্তি সেকেন্দার আলী মোল্লা (৫৬), তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৪৫)।

গত ২৭ অক্টোবর হত্যা মামলা হয়। হাফিজা বেগমের এজাহারের ভাষ্যমতে, গত ২৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে স্বামী তাঁর আপন বড় ভাই খোকন মোল্লার কাছে পাওনা টাকা আনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। ২৬ অক্টোবর দুপুরে চরকান্দা গ্রামের নির্মাণাধীন রেললাইনের দক্ষিণ পাশে রাঘদার বিলে জাল পাততে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি সেকেন্দারের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে হাফিজা বেগম গিয়ে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় খোকন মোল্লা, খলিল মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন হাফিজা। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম আজাদ।

জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাফিজা বেগম ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে আলগী ইউনিয়নের আরামবাগ চরকান্দা গ্রামের আতিয়ার রহমান ওরফে ভুলুর (৬৫) সুসম্পর্ক ছিল। নিহত সেকেন্দারের সঙ্গে আপন বড় ভাই খোকন মোল্লা ও চাচাতো ভাই জমির মোল্লার টাকার ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধ ছিল। অপর দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আতিয়ার রহমানের সঙ্গে খোকন মোল্লার বিরোধ ছিল।

পুলিশ বলছে, খোকন মোল্লাকে ফাঁসিয়ে এলাকায় আধিপত্য শক্তিশালী করতে হাফিজা বেগমের সঙ্গে আঁতাত করেন আতিয়ার রহমান। তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। আতিয়ার সেকেন্দারকে হত্যা করে মরদেহ খোকন মোল্লার বাড়ির সামনে রেখে তাকে ফাঁসানোর ফন্দি করেন। এ প্রস্তাবে রাজি হন হাফিজা বেগম।

২৫ অক্টোবর রাতে পরিকল্পনা মতো হাফিজা বেগম সেকেন্দার মোল্লাকে চারটি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাড়ির পাশে নিয়ে যান। সেখানে আতিয়ার রহমান ছেলে সম্রাটকে (২৯) নিয়ে অবস্থান করছিলেন। অর্ধচেতন অবস্থায় পুকুরপাড়ে আসার পর ওষুধের প্রভাবে সেকেন্দার অচেতন হয়ে পড়েন। আতিয়ার সেকেন্দারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। সাহায্য করেন সম্রাট। এরপর আতিয়ার ও সম্রাট সেকেন্দারকে ধরাধরি করে নৌকায় তুলতে গেলে সেকেন্দারের ছেলে হোসাইন (২১) ঘটনাস্থলে চলে আসেন। হোসাইনকেও বাবার মতো মেরে ফেলার হুমকি দেন আতিয়ার ও সম্রাট। পরে তাঁরা নৌকায় লাশ তুলে ভাঙ্গা থানাধীন চরকান্দা রেললাইন থেকে একটু দূরে নিয়ে বিলের মধ্যে হাঁটুপানিতে ফেলে দেন। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযাযী প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার তদন্তের একপর্যায়ে গত ৮ জুন আতিয়ার রহমান ও তার ছেলে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ৯ জুন আতিয়ার ও সম্রাট আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হাফিজা ও তাঁর ছেলে হোসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা