অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার দায়ে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস এবং বরখাস্তকৃত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আরও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে এ রায়ে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে সাক্ষর শেষে তা সেকশনে পাঠিয়েছেন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিচারপতি মো.সগির হোসেন।
হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ২ জুন দণ্ডিতদের আপিল শুনানি শেষে এ রায় দেন। ওইদিন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ বহাল রাখা হয় রায়ে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন।
ঘটনার পাঁচ দিন পর, ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র্যাব ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। অভিযোগপত্রে এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া আরও ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এক উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের তিন সোর্স (তথ্যদাতা)। সাতজন আসামি খালাস পান।
সাননিউজ/আরপি