ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যার বিভিন্ন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার সুরাহা চেয়ে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন পৌরসভার সকল কাউন্সিলরগণ। প্রতিবাদ স্বরূপ তারা গত ২ দিন ধরে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে কর্মবিরতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম চৌধুরী। পৌরসভার ১৫ জনের সকলেই এই কর্মবিরতি পালন করছেন বলে তিনি জানান।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় সর্বমোট ১২ টি ওয়ার্ড রয়েছে। যার কোনোটিতে কোনো উন্নয়ন নেই। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে এ ব্যর্থতার দায় মেয়রকে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। পৌরসভার হেল্প ডেস্কে সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরসভার নাগরিকদের। আমরা এগুলোর সুরাহা ও জবাবদিহিতা চাই। এর আগে আমাদের কর্মবিরতি থামবে না।
পৌরভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক ইসলাম বলেন, আমাদের মেয়র গত ৩ বছরে ৪৭ বার ঢাকা গেছে, যা সম্পূর্ণ পৌরসভার খরচে। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেয়রের ইতিহাসে এমনটা নেই। নিজের ভোগবিলাসে সে পৌরসভার টাকা খরচ করে, এই টাকা তো তার নিজস্ব সম্পদ না। এরকম চলতে থাকলে আমাদের এলাকার উন্নয়ন কীভাবে হবে, আমি আমার ভোটারদের কি জবাব দেবো।
আরও পড়ুন: আংগারিয়ায় ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু
ঠাকুরগাঁওয়ের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর বলেন, গত ২ দিন থেকে কর্মবিরতিতে থাকার ফলে পৌরসভার কোনো কাজ করছেন না কাউন্সিলররা। এতে সেবা নিতে এসে বারবার ফিরে যাচ্ছেন সেবা গ্রহিতারা। কাউন্সিলরদের এ অবস্থান বিপাকে ফেলেছে পৌরবাসীকে। দ্রুতই এ জটিলতার সুরাহা চাই।
পৌরসভার ১২ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক বলেন, বেশ কয়কবার আমি জন্ম নিবন্ধনের কাগজ নিয়ে গেলেও কাজ করাতে পারিনি। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া এখন শিশুর টিকা দেয়া যায় না। কি করবো বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুতই এর সুরাহা হবে।
সান নিউজ/এনজে