ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশ

লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: আজ লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে।

আরও পড়ুন: ইবির শাপলা ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

এরই মধ্য দিয়ে পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের হত্যা, লুট আর নির্যাতনের হাত থেকে জেলাবাসী মুক্তি পায়।

এর আগে স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময় লক্ষ্মীপুর জেলা ছিল পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত।

একাত্তরে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে ১৭ টি সম্মুখ যুদ্ধ ও ২৯ টি দুঃসাহসিক অভিযান চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। এতে শহীদ হন ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশ নিয়ে লক্ষ্মীপুরের মোট ১১৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

আরও পড়ুন: কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মতবিনিময় সভা

পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের মাদাম ব্রিজটি উড়িয়ে দেয়। আজও এর স্মৃতি হিসেবে ব্রিজের লোহার পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে।

যুদ্ধের দিনগুলোতে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে নারকীয় তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। হানাদার বাহিনী শহরের বাগবাড়ীতে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী হাজার হাজার নর-নারীকে ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন করতো।

এছাড়া যুবতিদের পাশবিক নির্যাতন শেষে হত্যা করে বাগবাড়ীস্থ গণকবর, মাদাম ব্রিজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গর্তে পুঁতে রাখে। আবার অনেককে হত্যার পর ফেলে দিয়েছিল খরস্রোতা রহমতখালী নদীতে।

আরও পড়ুন: নোয়াখালী-১ আসনের আ’লীগ প্রার্থীকে শোকজ

নারকীয় এসব হত্যাযজ্ঞের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের বাগবাড়ীস্থ গণকবর, মাদাম ব্রিজ, পিয়ারাপুর ব্রিজ ও মজুপুরের কয়েকটি হিন্দু ও মুসলমান বাড়ি।

৭১ সালের ২১ মে ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর ও দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের হিন্দু পাড়ায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় পাক হানাদার বাহিনী। এ সময় বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে বহু মানুষকে গুলি ও বেওনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে তারা। এতে প্রায় ৪০ জন নিরস্ত্র মুক্তিকামী বাঙ্গালী শহীদ হন।

আরও পড়ুন: মনোনয়ন যাচাইয়ের শেষ দিন আজ

একাত্তরের ১ ডিসেম্বর থেকে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরী এবং সুবেদার আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশি আক্রমণ চালায় হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে। অবশেষে ৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় হানাদাররা।

প্রতিবছর শহীদদের কবর জিয়ারত, আলোচনা সভা ও ফুল দিয়ে গণসমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানান কর্মসূচি মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে লক্ষ্মীপুরবাসী।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান !

নেপালে তীব্র বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা পদত্যাগের পর দেশটিতে অন্ত...

জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শ...

নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ, বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট স্থগিত, হোটেলেই ফুটবলাররা

নেপালে ‎স্থানীয় সময় আজ দুপুর ৩টায় টিম হোটেল থেকে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিম...

এলইডি স্ক্রিন চালু, ভোট গণনা দেখছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে...

আগে থেকেই সাদিক কায়েমের ব্যালটে ভোটের অভিযোগ রূপাইয়া’র

ডাকসু নির্বাচনে টিএসসির কেন্দ্রে পূর্বে ক্রস দেওয়া ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা