জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্পিরিট খেয়ে নুরুল ও কাশেম নামের ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্পিরিট পান করার পর চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও একজন। এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক হামিদুল পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: যাত্রীবেশে বাসে আগুন
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুলের মৃত্যু হয়। নিহত নুরুল ইসলাম (৫০) কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে। তিনি একজন মোটর শ্রমিক।
এর আগে স্পিরিট পান করায় শনিবার রাত ১২টার দিকে কাশেম আলী (৪০) মারা যান। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচারা গ্রামের নুর ইসলাম পটলের ছেলে। কাশেম নুরুলের সহযোগী ছিলেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ২ ভবনে ফাটল
অপরদিকে স্পিরিট পানে অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গঞ্জের আলী। তিনি দুর্বাচারা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় হামিদুল ডাক্তারের হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে নুরুল ইসলাম এবং কাশেম আলী স্পিরিট কিনেন। এরপর একটি মুদি দোকানে বসে নুরুল এবং কাশেম গঞ্জের আলীকে সাথে নিয়ে এই দ্রব্য পান করেন।
সেদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা ৩ জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্বজনেরা তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল ও কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গঞ্জের আলী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রাকে আগুন
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, স্পিরিট পান করায় ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, স্পিরিট পানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এসকে