ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ধর্মগড়, কাশিপুর, ফরিঙ্গাদিঘী ও বাহেরপাড়াসহ অন্যান্য বনভূমির ৫১৯.৩২ একর জমির প্রায় ৫০০ একর জমি বনবিভাগের দখলে নেই। বেদখলে থাকা এসব বনভূমি উদ্ধারেরও তেমন কোনো তৎপরতা নেই কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
বন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি এবং বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতার দাপটে এসব বনভূমি বেদখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগ রয়েছে, বনবিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে বন উজাড় করে স্থানীয়রা সেখানে সামাজিক বনায়নের নামে কৃষিকাজ, আম বাগান ও স্থায়ী কিংবা আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: সড়কে প্রাণ গেল চিকিৎসকের
এক্ষেত্রে লোক দেখানো দায়সাড়াভাবে বনবিভাগ ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও প্রভাবশালীরা রয়েছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। শুধু তাই নয়, বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রতিনিয়তই কাটা হচ্ছে গজারি-শালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। দিনরাত সমানতালে চলছে বৃক্ষ নিধন।
এক সময় যেখানে গভীর অরণ্যে দিনের বেলাতেও সাধারণ মানুষের চলাচল করার সাধ্য ছিল না, সেখানে পরিণত হয়েছে লোকালয় ও ফসলি জমিতে। এছাড়া সামাজিক বনায়নের নামে দিনদিন বনভূমির আকার ছোট করে ফেলা হচ্ছে।
তবে বনবিভাগের দাবি, অবৈধভাবে দখলকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইলিশায় ১৫ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক (দিনাজপুর) নূরুন্নাহার জানান, এসব জমি তো অনেক আগেই বেদখল হয়ে গেছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তারপরও বনভূমির জমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বন কর্মকর্তারা দখলকারীদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রণয়ন করেছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, বনবিভাগের তো আলাদা দপ্তর রয়েছে। তারা বনবিভাগের জমি উদ্ধারে সহযোগিতা চাইলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
সান নিউজ/এনজে