বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের লেবুতলায় কিশোর রুবেল হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন : একদিনে শিশুসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার
হত্যাকাণ্ডের ১৮ বছর পর রোববার (২৭ আগস্ট) অতিরিক্ত দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিটন হোসেন যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লিটনের বাবা আব্দুল লতিফ ও শিওরদাহ গ্রামের মকবুল বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুবেলের বাবা লেবুতলার আব্দুল মাজেদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার ছোটভাই লতিফের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে লতিফের ছেলে লিটন হোসেন ও তাদের বোনের ছেলে রফিকুল ইসলাম মাজেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের মারধর করে। এছাড়া মাজেদের পরিবারকে জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য হত্যার হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন : খুলনায় ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু
২০০৫ সালের ১৬ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার জন্য রুবেল ঘর থেকে বাইরে যায়। কিন্তু এরপর রুবেল আর ফিরে আসেনি। পরে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরের দিন বেলা ১১টায় রুবেলের বাড়ির পেছনের বাগানের একটি গর্ত থেকে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রুবেলের বাবা ১৭ জুন কোতোয়ালি থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আটক হয় আসামিরা। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রুবেলকে হত্যা করে মরদেহ গর্তে ফেলে দেয়। কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর মামলাটি তদন্ত করে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট আদালতে ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
আরও পড়ুন : এইচআইভি আক্রান্ত নারীর সন্তান প্রসব
রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে লিটনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও অপর দুজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তিন আসামির প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে আসামির স্বজনরা দাবি করেন, তারা এ রায়ে সন্তুষ্ট নন। উচ্চ আদালতে তারা এ রায়ের বিপক্ষে আপিল করবেন।
সান নিউজ/জেএইচ