নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় সেলামত উল্যাহ (৩৫) নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : ব্রিটিশ আমলের টেলিস্কাপ উদ্ধার
শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তারাপল্লা প্রধানিয়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আজ সকালে সেলামত চাঁদপুর থেকে বাড়ি আসছিল। বাড়িতে এসে হামলার শিকার হয়। সে চাঁদপুর আদালতে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৬ মাস আগে তিনি ফুলছোঁয়া গ্রামে বিয়ে করেন।
আরও পড়ুন : মধ্যরাতে গুলিবর্ষণে ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক, নিহত ১
স্থানীয়রা জানান, তারাপাল্লা গ্রামের প্রধানিয়াবাড়িতে ২ পক্ষের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ নিয়ে রবিউল আলমের ছেলে সেলামত উল্লাহর সাথে প্রতিপক্ষ একই বাড়ির আমির হোসেনের ছেলে কাউসারের সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কাউসার সেলামতকে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে থাকে। এতে সেলামত গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলামতকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : সোমবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তফসিল
সেলামতের বাবা রবিউল আলম বলেন, ঐ বাড়ির তাদের একটি নালিশি জায়গায় প্রতিপক্ষ বালু ফেলছিল। এ সময় তার ছেলে সেলামত চাঁদপুর থেকে এসে তা দেখে প্রতিপক্ষের কাউসারকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে কাউসার ও তার সহযোগী মিলে তার ছেলে সেলামতকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে।
এতে সে গুরুতর আহত হলে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন : ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কুমির খামার,
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন একটি জায়গা নিয়ে তাদের মামলা চলছিল। শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন ঐ স্থানে বালু ফেলালে সেলামত বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সেলামতকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে আহত করে। এলাকাবাসী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি জোবায়ের সৈয়দ বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর প্রেরণ করা হবে।
সান নিউজ/এনজে