নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ আটক যুবককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে। একই সাথে ভিকটিমকে তিন দিন থানায় আটকে রেখে ধর্ষণের আলামত নষ্টের চেষ্টা করেছেন ওসি।
আরও পড়ুন : স্থানীয়রা মামলা আতঙ্কে ঘরছাড়া
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার হয়ে চরজব্বর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তিন দিন আমাকে আটক করে রাখে। আমার মেডিকেলও করেনি। মামলাও নেয়নি। উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে মুচলেখা নিয়েছে। আমি এর বিচার চাই। আমি কি অপরাধ করেছি। এর আগে,গত সোমবার ৬ মার্চ উপজেলার ভূঁইয়ার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : কুমিল্লায় কলেজ পোড়ালো দুর্বৃত্তরা
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানায়, স্বামী ও সন্তানদেরকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের পৌরসভা জজকোর্ট সংলগ্ন ঝুমুর সিনেমা হলের পাশে তিনি বসবাস করেন। ভিকটিমের নিজ বাড়ি সুর্বণচর উপজেলার ভূঁইয়ার হাটের পূর্ব পাশে। গত শনিবার তার দাদী মৃত্যুবরণ করেন।
দাদীর কুলখানি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপুর থেকে সুবর্ণচরের ভূঁইয়ার হাটে আসেন। পরে পায়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার পথে সোমবার রাত ৯ টায় কয়েকজন যুবক সিএনজি নিয়ে তার গতি রোধ করে এবং তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে ভূঁইয়ার হাটের পশ্চিমে একটি ফাঁকা বিল্ডিংয়ে আটকে রাখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন : শেখ রাসেল বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখেছি। তার অভিযোগ সত্য নয়। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই নারী এমন অভিযোগ করেছে বলে স্বীকার করেছে। গৃহবধূর অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।
সান নিউজ/এইচএন