সান নিউজ ডেস্ক : টানা ভারি বর্ষণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে সুরমা নদীর পানি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় চীনের ৫ কোম্পানি
বুধবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১১৪ এবং শ্যাওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া পুরোনো সুরমার পানি দিরাইয়ে ১২ সেন্টিমিটার, বাউলাইয়ের পানি খালিয়াজুরীতে এক সেন্টিমিটার, সোমেশ্বরীর পানি কমলাকান্দায় ২২ সেন্টিমিটার এবং তিতাসের পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
আরও পড়ুন: আশ্রয়প্রার্থী ২০ হাজার বাংলাদেশি
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বুধবার দেশের ছয়টি নদীর পানি সাতটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এরই মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং উজানে দেশের বাইরের অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গঙ্গা-পদ্মা ও কুশিয়ারা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনে আদায়কৃত টোল ১ কোটি ৯৪ লাখ
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালায় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের (জলপাইগুড়ি, সিকিম) বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ওই সময়ে মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান (তিস্তা, আপার আত্রাই, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, টাঙন, পুনর্ভবা ও কুলিখ) নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সান নিউজ/এফএ