এম. এ আজিজ রাসেল: কক্সবাজারে শহরে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় বহু জুয়াড়ি চক্র। চক্রগুলো হোটেল—মোটেল জোনসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় নিয়মিত বসায় জুয়ার আসর। জুয়াড়ি চক্রের সদস্য তালিকায় রয়েছে পরিচিত ধনাঢ্য ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদ। ২০১৯ সালে ক্যাসিনো কাণ্ড নিয়ে প্রশাসন কঠোর হলে আলোচনায় এসেছিলো কক্সবাজারের জুয়াকাণ্ড। এবার বহুদিন পর সেই এক জুয়াড়ি চক্রকে কব্জা করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া
সোমবার (১৩জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার সুগন্ধার গণপূর্তের ৪নং ফ্ল্যাট থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, আলমগীর হোসেন মুন্না, নবী সুলতান, কবির আহমদ, শামীম আহমেদ, কামাল উদ্দিন, কাজি রাসেল আহমেদ নোবেল, মোহাম্মদ নুর ও রবিউল হোসেন। তাদের মধ্যে মুন্না ও নোবেল স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব ১৫ উপ অধিনায়ক মঞ্জুর মেহেদী। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে হোটেল-মোটেল জোনে একটি চক্র বড় বড় জুয়ার আসর বসে থাকেন। পরে এটা জানতে পেরে গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখে আজ (সোমবার) জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৮ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ১৩ লাখ টাকা ও জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ
র্যাব—১৫ এর উপ—অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদী আরও বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল ও আবাসিক বাসা ভাড়া নেয় জুয়াড়িরা। এই চক্রে রয়েছে ১৫ থেকে ৩০ জন সক্রিয় সদস্য। সেখানে তারা নিয়মিত ক্যাসেনো ও জুয়া পরিচালনা করে। রাত যতো গভীর হয়, আস্তানায় জুয়াড়িদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। এই জুয়ার বোর্ডে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সান নিউজ/কেএমএল