রহমত উল্লাহ,টেকনাফ : টেকনাফ বাহারছড়া এলাকায় চাঁদাবাজির মামলায় যুবলীগ নেতা শামশুল আলম ওরফে শামসুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে ধরতে গেলে পুলিশের উপর চড়া হয়ে ঠেলাঠেলি করে তার লোকজন। এ সময় পুলিশের এক সদস্য সদস্য আহত হন। গ্রেফতার বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক।
আরও পড়ুন : শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে কাজ করছে সরকার
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে যুবলীগ নেতাকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। আগের দিন গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজার থেকে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার কালে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতার শামশুল আলম বাহারছড়ার শীলখালী এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালু মিয়ার ছেলে। তার বিরোদ্ধে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারি ছিল। তাকে ধরতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়, কিন্তু সেখানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী মাঝেরপাড়ায় একোয়া শ্রিম্প হ্যাচারির (নারিশ কোম্পানি) প্রতিষ্ঠানেরর জমিতে নির্মাণকাজে বাঁধা প্রদান করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি অভিযোগে গত ২৬ এপ্রিল ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন : ডনবাসকে ধ্বংস করতে চায় রাশিয়া
এই মামলায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা শামশুল আলমসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ।
পরিদর্শক জানান, 'শামশুল আলমকে ধরে নিয়ে আসার আসার সময় তাঁর লোকজন হইচৈ শুরু। এতে তাদের লোকজন জড়ো হয়। এসময় উভয় পক্ষে ধস্তাধস্তি হয়। এ ঘটনায় আমাদের একজন সদস্য সামান্য ব্যথা পায়। আটক শামশুল আলমকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার কারাগারা প্রেরন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাহারছড়া শামলাপুর বাজার থেকে সাদা পোশাকে তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জামাল মীরসহ পুলিশের একটি দল চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শামশুল আলমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় তার লোকজন জড়ো হয়ে বাঁধা প্রদান করে।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা
এসময় পুলিশের সাথে তাদের টানা হেছড়া ও ধস্তাধস্তি হয়। এক প্রকারে পুলিশের সদস্যরা আহত হন। পরে শামশুলকে গ্রেপ্তার করে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা ওসি তদন্ত আব্দুল আলীম বলেন, কাল বাহারছড়ার ঘটনায় শামসুল আলমকে চাঁদাবাজির মামলা আটক করে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি নারিশ কোম্পানি প্রতিষ্ঠানের স্টোর অফিসার মামলার বাদি মো. রাশেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : ক্ষমতা ছাড়তে প্রস্তুত লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী
তবে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো.রফিকুল আলম জানান, 'চল্লিশ বছরে পুরনো একটি রাস্তা পরিকল্পিভাবে ধ্বংস করতে পায়তারা করছিল নারিশ কোম্পানি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে রাস্তার জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় দলীয় কোন্দলের কারনে সড়যন্ত্রণের শিকার হন যুবলীগ নেতা শামশুল আলম এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ কোন তদন্ত না করে পুলিশ মামলা এন্টি করে। এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বক সুস্থ বিচারের আকুতি জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী কাছে।
সান নিউজ/এইচএন