আমিরুল হক, নীলফামারী : সারাক্ষন কুকুর-বিড়ালের বিচরণ। ভেঁজা কাপড় শুকানো। আশে-পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। দিনে জুয়াড়ী আর সন্ধা হলেই মাদকসেবী-বিক্রেতাদের আড্ডা। এমন চিত্র নীলফামারী সৈয়দপুরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের।
সরেজমিন দেখা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বিমান বন্দর সড়কের ডাকবাংলোর বিপরীত দিকে নির্মিত মুল স্মৃতিস্তম্ভের পাশেই ময়লা- আবর্জনার স্তুপ। যা দেখে বোঝার উপায় নেই এটি স্মৃতিস্তম্ভ নাকি ময়লার ভাগার। এলাকার মানুষ দঁড়ি টেনে কাপড় শুকাচ্ছে। স্মৃতিসৌধের একপাশে বসে কিছু যুবক খেলছে জুয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বয়োজেষ্ঠ বলেন সন্ধা হলেই শুরু এখানে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ভয়ে মাদক সেবনকারীদের কেউ কিছুই বলার সাহস পায় না। এতে নষ্ট হচ্ছে স্মৃতিস্তম্ভের মর্যাদা ও এলাকার পরিবেশ।
আরও পড়ুন: রিকাবীবাজার খালের সীমানা নির্ধারণ, উচ্ছেদ রোববার
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সস্তানরা ১৯৯১ সালে শহরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে শহীদ পরিবারের সন্তনরা নিজেদের অর্থেই শুরু করে এর নির্মাণকাজ। পরে নীলফামারী জেলা পরিষদ, সাবেক সাংসদ মরহুম মারুফ সাকলান এবং সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী নির্মাণকাজে আর্থিক সহযোগিতা করেন। সেখানে এখনো অসমাপ্ত রয়েছে বেশকিছু নির্মাণ কাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হুসাইন বলেন, মাদক ও জুয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কিছুদিন আগেও আশেপাশের লোকজনকে আবর্জনা ফেলতে এবং কাপড় শুকাতে নিষেধ করেছি। এরপরও এ ধরনের কাজ যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এনকে