নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গোখরা সাপের উপদ্রব বেড়েছে। চলাচলের রাস্তা, মাঠে একাধিক গোখরা সাপকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
তাই সাপের ভয়ে রাস্তা দিয়ে কোনো মানুষ চলাচল করতে সাহস পান না। আবার রাতে কেউ ভয়ে বের হন না।
এদিকে, গত তিন বছর যাবৎ সাপে কাটার প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনাম) নেই। ফলে সাপের ছোবল দিলে ৩৫ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
স্থানীয়রা জানান, সুদর্শন নামের এক রাখাল যুবক ৯ নভেম্বর সকালে দত্তপাড়ার একটি মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি সাপের বাচ্চাকে ইটের স্তূপের ওপর রোদ পোহাতে দেখেন। পরে তিনি দুটি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেন। গরু নিয়ে একই সড়ক দিয়ে আবারো যাওয়ার সময় আরও তিনটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান।
১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন উপজেলা সদরে দুজন নারী পথচারী দত্তপাড়ার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পাঁচটি সাপের বাচ্চাকে রাস্তার মাঝখানে ফণা তুলে শব্দ করতে দেখেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তিনটি সাপ মেরে ফেলেন। এ সময় অপর দুটি সাপের বাচ্চা পালিয়ে যায়।
সাপের ছবি দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম জানান, এটি গোখরা প্রজাতির সাপ। এর নাম মনোকলড কোবরা বা কেউটে সাপ বা গোক্ষুর বা গোখরা সাপ। এ ধরনের সাপ সাধারণত ৫-৮ ফুট লম্বা হয়। জলাভূমিতে এসব সাপ থাকে। এ ধরনের সাপ দংশন করলে কোনো ওঝার কাছে না গিয়ে সরাসরি হাসপাতালে যাওয়া উচিত। এ সাপ কামড় দিলে সাধারণত শ্বাসকষ্ট থেকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. অভিজিৎ রায় বলেন, ‘হাসপাতালে সাপে কাটা তেমন রোগী আসে না। আমি যোগদানের আগে থেকে গত তিন বছর যাবৎ উপজেলায় অ্যান্টিভেনাম নেই। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি, আশা করছি দ্রুত এগুলো পেয়ে যাবো।’
সান নিউজ/এমবি