নিজস্ব প্রতিনিধি, শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দেড়মাসে প্রায় ৬০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে আরও শতাধিক পরিবারের। ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে পূর্বনাওডোবা, জাজিরা, কুন্ডেরচর, বড়কান্দি ও বিলাসপুর ইউনিয়ন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাজিরা উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী ১৬ কিলোমিটার বাঁধের আওতায় আসে নাই। এ কারণে প্রতি বছরই ওই ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন অংশে ভাঙছে। গত দেড়মাসে ওইসব এলাকায় ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৬০ পরিবার। তারা এখন অন্যত্র বসবাস করছেন। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে আরও শতাধিক পরিবারের।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে পদ্মার ভাঙনরোধে ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় ১২ দশমিক তিন কিলোমিটার সুরক্ষিত করায় তিন বছর ধরে ভাঙন আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছে নড়িয়াবাসী। কিন্তু এখনো জাজিরা উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী ১৬ কিলোমিটার বাঁধের আওতায় না আসায় প্রতি বছরই ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন অংশে ভাঙছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব জানান, পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে পদ্মার ডান তীর জাজিরার ১৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধের আওতায় আনার কাজ প্রক্রিয়াধীন। ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সান নিউজ/ এমবি