নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক নারীকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়ার অভিযোগে দল থেকে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শাহ মো. জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দফতর সম্পাদক রাজন আহমেদ পিয়াস স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ মে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শাহ মো. জসিম উদ্দিন সংগঠন পরিপন্থী, শৃঙ্খলাবিরোধী, অসামাজিক এবং অমানবিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া এবং সদর মডেল থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের হওয়ার প্রেক্ষিতে সংগঠনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হওয়ায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া শিপুর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাকে বহিষ্কার করা হলো।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৪ মে) বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধিকা বাজারে উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শাহ মো. জসীম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পারভীন আক্তার নামে এক নারীকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার কাছে থাকা ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা।
পরে ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ ফোন দেয়ার পর সেখানে সদর থানা পুলিশ হাজির হয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর ওই নেতার মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পারভীন আক্তার সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শাহ মো. জসীম উদ্দিন, তার ভাই-পিতাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বহিষ্কারকৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শাহ মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আমার দোকানের সামনে হঠাৎ করে আমি দেখতে পাই, এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় দোকানে থাকা আমার ভাই ও আমার পিতাসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে গণধোলাইয়ের হাত থেকে ওই যুবককে রক্ষা করি। তবে আমি আগে থেকে ওই যুবককে চিনতাম না। তখন ওই যুবককে রক্ষা করতে গিয়ে নারীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সান নিউজ/ আরএস