নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সালিশে সমঝোতা হলেও বের হওয়ার পরই এক ইউপি সদস্য ও তার শ্যালকের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মহসিন খন্দকারের শ্যালক জুনায়েদ খন্দকারসহ পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জুনায়েদকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মহসিন খন্দকারের সঙ্গে পৌরসভার পূর্ব মেড্ডা এলাকার নাসিরের পূর্ব বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সম্প্রতি উভয়পক্ষ একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিরোধ মেটাতে শুক্রবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শহরের জেল রোডে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে সালিশ হয়। সেখানে উভয়পক্ষকে বিরোধ নিষ্পত্তি করে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে বলা বলা হয়।
তারা আরও জানান, সালিশ শেষে মহসিন খন্দকারসহ তার লোকজন আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন থেকে বের হয়ে জেলরোডে আসা মাত্রই প্রতিপক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা জুনায়েদকে কুঁপিয়ে জখম করে।
ইউপি সদস্য মহসিন জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নাসিরের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। নাসিরের লোকজন পরে তার বাড়িতে গিয়ে শ্যালক জুনায়েদকে মারধর এবং গেট ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সদর থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এ নিয়ে সালিশের বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। তবে সালিশ থেকে বের হওয়ার পরই তাদের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষ।
সালিশে থাকা সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সালিশে সমঝোতা করার পর হামলার ঘটনা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এনআই/এনকে