নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনার জের ধরে শাহাজাদা মোল্লা নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কলেজ এভিনিউ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত শাহাজাদাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছেন শেবাচিমের চিকিৎসকরা।
আহত শাহাজাদা মোল্লা কলেজ এভিনিউ এলাকার বাসিন্দা এবং সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে মাস্টার্স এর ছাত্র এবং বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সহ-সভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ‘আমরা কয়েকজন কলেজ এভিনিউ সড়কে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলাম।
হঠাৎ করেই একদল সন্ত্রাসী এসে শাহাজাদা মোল্লাকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হুমায়ুন কবিরের দাবি ‘বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান, সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম টিপু, আল আমিন, মাহফুজসহ ১০-১৫ জন এই হামলায় অংশ নেয়। তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। শাহাজাহা মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা হয়েছে অভিযোগ করলেও কি কারণে হামলা হয়েছে সে বিষয়ে অবগত নন বলে জানান কবির।
তবে ছাত্রদলের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল নগরীর জিলা স্কুল মাঠে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
এসময় মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের অনুসারী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসানসহ তার অনুসারীদের মারধর করে।
ওই ঘটনার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার রাতে কবির ও তার লোকেদের ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল কামরুলের। কিন্তু কবিরকে না পেয়ে তার অনুসারী শাহাজাদা মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রদলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান এর মুঠোফোনে কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অপরদিকে, বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ এভিনিউ এলাকায় একজনকে কুপিয়ে জখমের খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনো যানা যায়নি। আহত’র পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ‘শাহাজাদা মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাতেই ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছেন শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে তাকে ঢাকায় না নিয়ে আপাতত বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সান নিউজ/কেআর/এনকে