সারাদেশ

চাঁদ রায় কেদার রায়ের রাজাবাড়ির চর 

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : এখানে এখন রাজাবাড়ি নেই। সেনাপতি সৈন্য শামন্ত হাতি, ঘোড়া কিছুই নেই। প্রহরি পাইক পেয়াদা দ্বাররক্ষক নেই। শুধু শান্ত সুনিবীয় গ্রাম। হ্যা এমনই অবস্থা এখন রাজাবাড়ি চরের। এক সময়ে এখানে বসত করতেন রাজা চাঁদ রায় ও কেদার রায়। এখন ইতিহাস হয়েছেন তারা। নেই কোন হাক ঢাক।

একসময় এখান থেকে প্রাচীন ভাটি অঞ্চল শাসন করতেন চাঁদ রায় কেদার রায়। চাঁদ রায় কেদার রায় বার ভূইয়াদের অন্যতম নেতা। মোগলদের বিরুদ্ধে বিক্রমপুরের শ্রীপুর হতে যুদ্ধ করতেন চাঁদ রায়-কেদার রায়।

১৮৬৯ সালের আসাম ভূমিকম্পে পদ্মা গতি পরিবর্তন করলে চাঁদ রায় কেদার রায়দের স্মৃতি বিজরিত বাড়িটি চীরতরে ধ্বংস হয়ে যায়। একাধিক বার রাজাবাড়ি চরটি জেগেছে আবার পদ্মার ভাঙনের কবলে পরেছে। ১৯৯০ সালে রাজাবাড়ি চরটি পুনরায় জেগে উঠলে জনবসতি শুরু হয়।

২৬ ডিসেম্বর ২০২০ রোজ শনিবার সকাল পৌনে ১০ টার দিকে দীঘিরপাড় বাজারের ওপাড় হতে পায়ে হেঁটে রাজাবাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। সাথে ছিলেন ইতিহাস ও প্রত্নগবেষক গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল।

তিন কিলোমিটার হাঁটার পরে থামতে হল বাহেরচর বাজারে। এ চরটি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নে।

কথা হলো মাষ্টার জয়নাল আবেদীন (৭৫) সাথে। তিনি বললেন, এ বিশাল চরটি ৪/৫ বার ভাঙনের কবলে পরেছে। লোকজল সর্বশান্ত হয়েগেছে৷ মূল ভূ-খণ্ডের সাথে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই।

কথা হলো কান্দিবাড়ি গ্রামের মোজাল হক শেখ (৬৫) সাথে। এ চরটি অন্তত পাঁচবার ভেঙেছে। এখানে কোন সরকারি প্রাইমারি স্কুল নেই। নেই কোন ক্লিনিক। এখানকার ৫/৭ হাজার জনগোষ্ঠী সরকারি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত।
তিনি আরও জানান, কান্দবাড়ির দক্ষিণে অর্জিনাল দীঘিরপাড় পশ্চিম পাশে ধানকোড়া ও মূলচর মৌজা।

জয়নাল আবেদীন খান (৭৭) বলেন, আমার পৈতৃক ভিটা বাড়ি রাজাবাড়ি চরে। যা বর্তমানে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নে। এখন থেকে ৭০ বছর আগের ভাঙনে বাবা মায়ের সাথে মুন্সীগঞ্জের দীঘিরপাড় চলে আসি। বর্তমানে যেখানে রাজাবাড়ি মসজিদ। তার ঠিক এক হাজার বর্গমিটারের মধ্যে চাঁদ রায় কেদার রায়ের বাড়ি ছিল।

আর রাজাবাড়ি মঠ (Temple) সে সময় মুন্সীগঞ্জের সীমার মধ্যেই ছিল। দীঘিরপাড় বাজার হতে রাজাবাড়িচরের দক্ষিণ সীমা পদ্মা পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ হলে এখনকার লোকজনের দুঃখ লাঘব হতো।

সান নিউজ/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

ফের ৯৮ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

ফের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিম...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা