সারাদেশ

এক সার্টিফিকেটে দুই চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন মাসুদ করিম। কিন্তু তার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে রোগী দেখছেন মাসুদ রানা। ফি নিচ্ছিলেন ৫০০ টাকা করে। শুধু মাসুদ রানা থেকে চিকিৎসক মাসুদ করিম হতে তৈরি করেছেন একটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্রও।

অবশেষে প্রতারক মাসুদ রানাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তার কাছ থেকে মাসুদ করিম নামে এমবিবিএস পাসের সার্টিফিকেটের ফটোকপি, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে তাকে হবিগঞ্জ শহরের মুন জেনারেল হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামছুদ্দিন মো. রেজা তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তিনি ফেনী জেলার বাসিন্দা। বাবার নাম আব্দুল হান্নান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার হবিগঞ্জ শহরের মুন জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। তখন মাসুদ রানা নিজেকে ডা. মাসুদ করিম বলে দাবি করেন। কিন্তু পরে সার্টিফিকেটের প্রকৃত মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মাসুদ রানা একজন প্রতারক। এরপর তিনি তার দোষ স্বীকার করেছেন। তাকে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মুন জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান সামছুল আলম সাজু জানান, মাসুদ রানা নিজেকে ডা. মাসুদ করিম প্রচারের মাধ্যমে প্রায় দুই মাস ধরে ৫০০ টাকা ফিতে রোগী দেখছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী রোগীপ্রতি হাসপাতালকে দিতেন ১০০ টাকা।

চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার সময় যাচাই-বাছাই করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাসুদ রানা নিজেকে ডা. মাসুদ করিম প্রমাণ করতে একটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্রও বানিয়ে নিয়েছেন। সেজন্য আমরা বুঝতে পারিনি।

এদিকে, ভুয়া চিকিৎসককে শাস্তির আওতায় আনলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে হবিগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান কল রিসিভ করেননি। তবে জেলা প্রশাসনের আরেকজন কর্মকর্তা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে শুধু তাৎক্ষণিকভাবে যিনি অপরাধী তাকেই শাস্তি দেয়া হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শাস্তির আওতায় আনতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মুন জেনারেল হাসপাতালের কোনো রেজিস্ট্রেশনই নেই। এটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান। এ হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া উচিত। তবে সেটা প্রশাসনের মাধ্যমেই করতে হবে।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা