বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড়বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মান্দারী ইউনিয়নের মিয়াপুর ভূঁইয়া বাড়ি নুরানি মাদ্রাসায় ওয়ার্ডভিত্তিক নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, হাসিনার বিচার দ্রুত হলে গুম-খুনের একটা ফলাফল আসবে। গণহত্যার বিচার হবে, বিচারে একটা রায় হবে। যারা গণহত্যা, গুম-খুন করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আমরা চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
সবার আগে হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচার এবং আইনের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা নিয়ে পাড়া-মহল্লায়, শাহবাগে, যমুনায় বারবার মিছিল-মিটিং করতে হবে, গাড়ি আটকাতে হবে, এতে মানুষের কষ্ট হবে; এটি জনগণ চায় না, প্রত্যাশা করে না। জনগণ চায় টেবিলে আলোচনা করে শেষ করেন। টেবিলে আলোচনাটা জরুরি ছিল। সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করলে এ নিস্পত্তিটা আরও আগেই হতো।
তিনি বলেন, মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়। আমরা যেসব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সেখানে যদি বিন্দুমাত্র মতভেদ তৈরি হয়, মানুষ মনে কষ্ট পাবে। এ কষ্ট আমরা মানুষকে দিতে চায় না। আমরা ১৭ বছরের বিচার চেয়েছি। গণহত্যা, গুম-খুনের বিচার চেয়েছি। দুর্নীতি, টাকা পাচারের বিচার চেয়েছি। আমাদের আন্দোলনের ফসল হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার নয় মাস দায়িত্ব পালন করছে। ৯ মাসে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখছি না। বিচার প্রক্রিয়া এত স্লো কেন, কারণ কী? হাসিনার বিচারটা যদি দৃশ্যমান আর দ্রুত হয়, তাহলে দেশের মানুষ খুশি হবে, আশ্বস্ত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেলাল হোসেন ও সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।
সাননিউজ/ইউকে