এক নারী যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা খেলো সিএনজি অটোরিকশা চালক বেশে দুই ছিনতাইকারী। রবিবার (১১ মে) সকাল ১১টার দিকে ফেনীর ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ কুহুমা হাজারিপুকুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীব্রিজ এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলো- ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব পাঠাননগর গ্রামের মোঃ মোস্তফার ছেলে মোশারফ হোসেন শাহিন এবং একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মেহেদী হাসান। তাদের সঙ্গে থাকা ইসমাইল নামের অপর ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া কাজিরদীঘি এলাকা থেকে মুহুরীগঞ্জগামী সিএনজিতে উঠে এক নারী যাত্রী। তখন গাড়িতে চালক ছাড়াও যাত্রী বেশে দুযুবক বসা ছিলেন। সিএনজি অটোরিকশা মুহুরীব্রিজের কাছাকাছি আসার পর ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় ওই দুযুবক। ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারী চিৎকার দিলে নির্জন এলাকায় নারীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে মুহুরীগঞ্জের দিকে চলে যায় তারা।
পরে ওই নারী পেছন থেকে আসা অপর অটোরিকশাতে ওঠে ছিনতাইকারীদের পিছু নেন। ছিনতাইকারীরা ভুলে মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে স্ট্যান্ড দিয়ে ছাগলনাইয়ার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে রেললাইন দেখে পেছনে ফেরার সময় ওই নারী যাত্রী তাদের দেখে "ছিনতাইকারী" বলে চিৎকার করতে থাকেন।
তখন ছিনতাইকারীরা রেলওয়ে ক্রসিং পার হয়ে ছাগলনাইয়ার দিকে দ্রুত চলে যায়। পেছন থেকে স্থানীয় মানুষজন সিএনজি ও মোটরসাইকেল করে তাদের ধাওয়া দেয়। প্রায় ৫ কিলোমিটার ধাওয়া করে দক্ষিণ কুহুমা হাজারী পুকুর এলাকায় তাদের আটক করে পিটুনি দেয়। পরে আটক দুজনকে ফাজিলপুর (মুহুরীগঞ্জ) হাইওয়ে পুলিশে হাতে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
ফাজিলপুর (মুহুরীগঞ্জ) হাইওয়ে থানার এস আই মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আটক দুইজন ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে ছাগলনাইয়া থানায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সাননিউজ/ইউকে