শিল্প ও সাহিত্য
জাপানের গল্প-২১

সন্তান হারাবার যন্ত্রণা

পি আর প্ল্যাসিড: বিয়ের পর মিতুল নিজের চাকরি করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক কাজ-কর্ম করতে শুরু করে। তার এই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য টোকিও’র তোসিমা ওয়ার্ডস্ত ওৎসকা স্টেশনের পাশেই সে অফিস ভাড়া নেয়। অফিস নেবার পর থেকে বাঙালিদের সাথে পুরোদমে যোগাযোগ রক্ষা করতে শুরু করে মিতুল।

কর্ম ক্ষেত্রে ব্যস্ততা এবং স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কারণে এক সময় মিতুল তার অফিসে আসা কমিয়ে দেয়। তার সাথে যারা ব্যবসায়িক কাজে জড়িত তারা অফিসে এসে তাকে না পেয়ে ফিরে যেতে থাকেন। মিতুলের এই অফিসে না আসার কারণে ভাড়াও বাকি পড়ে যায় তার কয়েক মাসের। একদিন বাড়িওয়ালা তথা যেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অফিস ভাড়া নিয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান বা এজেন্ট মিতুলকে ফোন করে বলল, অফিসের ভাড়া দুই মাসের বকেয়া হয়ে গেছে।

সম্ভব হলে দ্রুত যেন ভাড়া দেবার ব্যবস্থা করা হয়। মিতুল তাকে সময় দিয়ে বাড়ির মালিকের সাথে দেখা করার কথা বলে। পরে অন্য একদিন বাড়িওয়ালার সাথে দেখা করতে মিতুল তার স্ত্রী খামিজোকে নিয়ে বাড়িওয়ালার বাসায় যায়। খামিজো বাড়িওয়ালার সাথে দেখা করতে যাবার কথা শুনেই স্টেশনের সামনে এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে কিছু ফল আর জাপানি বিস্কুট কিনে সাথে করে নিয়ে যায়।

খামিজোকে দেখেই বাড়ির মালিক বললেন, তোমাকে দেখে তো মনে হয় তুমি নিনশিন (অন্তঃসত্বা)। তাইহেন দেস নে (কঠিন অবস্থা, তাই না?)। বলেই ঘরের মেঝেতে বসতে দিলে তারা শুরুতেই বাড়িওয়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলল, আমি তো আসলে আগের মতো টোকিও আসতে পারছি না। সুতরাং আমি ভাবছি এই অফিস ছেড়ে দেবো।

মিতুলের এই কথা শোনার পর বাড়ির মালিক অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, এখন তাহলে তোমাদের বাসা কোথায়? কবে তোমরা বাসা বদল করেছ?

বাড়িওয়ালা জানতেন মিতুলের বাসা তাদের কাছেই এবং সে অবিবাহিত। তাই কিছুটা অবাক হয়ে নানা বিষয় জানতে চাইলেন।

মিতুল বলল, আমরা কয়েক মাস আগেই বাসা বদলে ছাইতামা প্রিফেকচারে নতুন বাসা নিয়ে চলে গিয়েছি। যাবার আগে আমি তোমার এজেন্টকে বলেছিলাম তোমাকে যেন বলে, আমি যে আমার এখানকার বাসা বদলে টোকিও থেকে ছাইতামা প্রিফেকচারে যাচ্ছি।

বলার পর বাড়ির মালিকের স্ত্রী বললেন, আমার ধারণা তোমার কথা সে বুঝতে পারেনি। কারণ তুমি যখন টেলিফোনে কথা বলো তখন তোমার অনেক কথা আমিও বুঝতে পারি না। সামনাসামনি বসে কথা বললে তোমার চোখ মুখ দেখে অনেক কিছু বুঝতে পারলেও টেলিফোনের কথা বুঝতে কষ্ট হয়। এমনটাই হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা না হলে আমি এর মধ্যে তোমার বিষয় কথা বলেছি কয়েকবার। আমাকে সে একবারও বলেনি তুমি যে অফিসে আসছ না বা বাসা বদল করেছো।

মহিলার কথা শুনে খামিজো বলল, আমি তার সাথে থেকেও তার অনেক কথা বুঝি না। অনেকক্ষণ সময় কথা বলার পর বুঝি কি বলতে চাইছে।

-তোমরা বিয়ে করেছ কতোদিন হবে? মহিলার প্রশ্ন।

-এই তো, আট মাস প্রায় হবে।

-অমেদেতো গোজাইমাছ (অভিনন্দন)। বলেই আবার প্রশ্ন করলেন, এখন কত মাস চলছে?

-ছয় মাস।

আবারও অমেদেতো বলে মহিলা বললেন, বসো, তোমাদের গ্রীন টি দেই। বলেই আবার প্রশ্ন, ঠান্ডা না গরম খাবে?

-একটা হলেই চলবে। বলেই খামিজো তার নিয়ে আসা ফল আর বিস্কুটের প্যাকেট বাড়ির মালিকের স্ত্রীর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, আমাকে গরম চা দিবেন দয়া করে।

বাড়িওয়ালী তাদের ঘরের মেঝেতে জাপানি সাংস্কৃতি অনুযায়ী বসার জন্য তোষক এনে দিলে তা সুন্দর করে বিছিয়ে তার উপর দু’জন বসেন। এরপর পাশেই গরম পানির ইলেক্ট্রিক পট থেকে মাটির পটে গরম পানি নিয়ে সাথে গ্রীন টি-র প্যাকেট নিয়ে পাশে এসে সামনে টেবিলের উপর রাখেন।

তার আগেই বাড়িওয়ালা ছোট একটি টেবিল তাদের মাঝখানে ভাঁজ খুলে বিছিয়ে রেখে মেঝে থেকে চায়ের কাপ টেবিলে তুলে রাখেন। এরপর জাপানি বিস্কুট দিয়ে জাপানি নিয়মে চা ঢেলে দিয়ে অফিস নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন।

মিতুল বলল, আমার পক্ষে তো এখন আর এই অফিস চালানো সম্ভব নয়, তোমরা যদি আমাকে অনুমোদন দাও তাহলে অফিসে কিছু বাংলাদেশি ছাত্রকে থাকার ব্যবস্থা করে দেই। তাহলে তোমাদের ভাড়াটা আপাতত ওরা চালিয়ে নিতে পারবে। আমি যখন কিছুটা ফ্রি হব তখন না হয় আবার নিয়মিত আসব অফিসে। তখন থেকে না হয় আমি অফিসের ভাড়াও ঠিক মতো দিয়ে আমার আগের কাজগুলো চালাতে পারব।

মিতুলের ব্যবহারে মালিক অনেক খুশি হন। তাছাড়া যখন দেখেছেন মিতুল জাপানি মেয়ে বিয়ে করেছে, তখন তার প্রতি তাদের বিশ্বাস ও সিমপ্যাথি বেড়ে যায়। যে কারণে মিতুলের কথায় আর আপত্তি করেননি তাদের কেউ-ই।

খামিজো ভাবে, মিতুল যেহেতু এখন সহজে আর দেশে ফিরে যাচ্ছে না এবং জাপানেই সংসার করবে তাই, তাকে শুরু থেকেই জাপানি সোসাইটির সাথে মিশতে হবে। জাপানিদের সাথে কাজ না করলে তাদের এসব সংস্কৃতি শিখতে পারবে না। এই জন্য মিতুলের সাথে এসে অফিসের বিষয় কথা বলে।

বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলে সেদিন তারা বাসায় ফিরে যায়। পরে মিতুল কয়েকজন ছাত্রকে তার অফিসে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেও তাদের সাথে কথা হয়, অফিসে যে সকল আসবাবপত্র এবং বই বা অন্যান্য ফাইলপত্র আছে তার যেন কোন ক্ষতি না হয়। এসবে হাত না দিতে অনুরোধ করে মিতুল।

কিন্তু বেশ কয়েক মাস সে অফিসে না আসায় কুমিল্লার এক ছেলে, নাম আবেদ সে অফিসের অনেক কাগজপত্র এবং টেবিল চেয়ার বাইরে রাস্তার ধারে নিয়ে ফেলে রাখে। এ দেখে বাড়িওয়ালা ফোন করে বিষয়টি মিতুলকে জানালে সে এসে দেখে বাইরে থেকে ওয়ার্ড অফিসের লোকজন সব কিছু এরই মধ্যে ট্রাকে করে নিয়ে গেছে। পরে অফিসে গিয়ে দেখে তারা দরজার তালা পর্যন্ত বদলে ফেলেছে, যে কারণে সেদিন সে আর অফিসের ভিতর ঢুকতে পারেনি।

এর মধ্যে খামিজোর শরীরেরও অনেক পরিবর্তন হতে থাকে। এই অবস্থায় তাকে নিয়ে কাজের পর বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় মিতুলকে। যে কারণে অফিসের দিকে আর নজর দেবারও সুযোগ হয় না। সে মনে করে, তার এখন অফিস বা আসবাবপত্রের চেয়ে স্ত্রীর পেটের সন্তান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে চাকরির পাশাপাশি স্ত্রীর দেখভালই করে বেশি।

কয়েক মাস পর খামিজোর সন্তান প্রসবের সময় হয়। মিতুলের এখানে আত্মীয় পরিজন কেউ নেই। এই অবস্থায় সে কোন দিকে কি সামলাবে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। তার অফিসে থাকে তাদেরই একজন একদিন মিতুলকে ফোন করে জানায় যে, তার অফিসে যা আছে সব ফেলে দিচ্ছে আবেদ।

এমনকি তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব। শোনার পর মিতুল বলল, ওকে বলো আমার অফিস থেকে বের হয়ে যেতে। বলার পর ছেলেটি আবার বলল, আমরাই ওকে বের করে দিয়েছি। কিন্তু আপনার যা ক্ষতি করার সে তো করেই ফেলেছে। আমরা যখন কেউ ঘরে ছিলাম না তখন সে এই কাজটি করেছে। থাকলে এমনটি করতে দিতাম না।

এর কিছুদিন পর খামিজোকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্তান প্রসবের সময় হয়ে আসে। মিতুলের মনে আনন্দ, সে প্রথম সন্তানের পিতা হবে। সবাইকে জানায় তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাবার কথা। ঘনিষ্ঠদের অনেকেই তার বাসার ফোন নম্বরে ফোন করে ভয়েস ম্যাসেজ দেয়। সবার ম্যাসেজ এক।

সবাই একটি কথাই বলছে, ‘অগ্রীম শুভেচ্ছা’। ছেলে বা মেয়ে যা-ই হোক তাদের যেন জানানো হয় এবং কোন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, তাও যেন তাদের জানানো হয়, তারা সময় করে মা এবং সন্তানকে দেখতে আসবে হাসপাতালে।

নির্ধারিত সময় সন্তান প্রসব তো দূরের কথা ডাক্তার মিতুলকে বললেন, তার স্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক। এমন এক পরিস্থিতিতে ডাক্তার জানালেন যে, হয় সন্তান নয় স্ত্রী, যে কোন একজনকে তার বেছে নিতে হবে।

এই কথা শোনার পর কি করবে, পুরো দিশে হারা হয়ে যায় মিতুল। কাকে কি বলবে এবং কিভাবে সে তার এই দুর্দিনে নিজের অবস্থা ট্যাকেল দিবে বুঝে উঠতে পারে না। তাড়াতাড়ি এক হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে অন্য হাসপাতালে নেয়া হয় খামিজোকে। সেখানে যাবার ঘন্টা খানেকের মধ্যে অপারেশন করে পেটের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

ডাক্তারদের যারা এর সাথে জড়িত তাদের একজন একজন করে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে এসে মিতুলকে বলছেন, তোমার ছেলে সন্তান হয়েছে। অমেদেতো (অভিনন্দন) কিন্তু ছেলের অবস্থা মায়ের চেয়ে শংকটাপন্ন। তাকে কতটা বাঁচানো সম্ভব এখনই বলা যাচ্ছে না। এ কথা শুনে মিতুল কান্নায় ভেঙে পড়ে। একাই মন ভার করে অনেক রাত পর্যন্ত হাসপাতালে স্ত্রী আর সন্তানের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অপেক্ষা করে।

মা সন্তানের অবস্থা যখন কিছুটা ভালো তখন সে বাসায় ফিরে আসে। রাত তখন গভীর। বাসায় এসে দেখে তার ল্যান্ড ফোনে অনেকগুলো ম্যাসেজ রেকর্ড করা রয়েছে। ফোন সেটে লাল এক বাতি নিভছে আবার জ্বলছে। সে বাটন টিপে ক্লান্ত শরীর এবং ক্ষুধার পেট নিয়ে ম্যাসেজ শুনতে শুরু করে। শুরুতেই শুনতে পায় সে অফিসে বহিরাগতরা এসে আবেদের হয়ে মারামারি করেছে। এটা শোনার পর যতো ম্যাসেজ ছিলো সেগুলো আর না শুনেই ইরেজ করে ফেলে রাগে।

এর মধ্যে সে তার চাকরির ক্ষেত্রেও নিয়মিত যাওয়া বিরত রাখে। হাসপাতাল আর বাসা এভাবেই চলে গেলো তার বেশ কিছুদিন। এদিকে তার নেই খাওয়া, নেই গোসল নেই কোনো ঘুম। অনেকটা পাগল প্রায়। একদিন অনেক রাত পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে খামিজোকে রিলিজ দিলে সেই রাতেই সে মিতুলসহ বাসায় চলে আসে। বাচ্চাকে তারা আর তাদের কাছে দেয় না। রেখে দেয় তাদের দায়িত্বে চিকিৎসা করবে বলে। বাসায় এসে এতদিন পর বাসায় একটু ঘুমানোর জন্য টেলিফোন বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে দু’জনেই, পরের দিন ভোরে উঠে আবার হাসপাতালে যাবে সন্তানের কাছে এই আশায়।

ঘুমানোর ঘন্টা দুই পর তখন হয়তো ভোর তিনটা বাজে, এ সময় দরজায় খুব জোরে জোরে ঠক ঠক করে শব্দ হতে থাকলে দু’জনেই তারা ভয় পেয়ে যায়। এত ভোর বেলা এভাবে কে তাদের দরজা ধাক্কাচ্ছে মনে করে সাহস সঞ্চয় করে উঠে এসে দরজা খোলে। দরজা খুলতেই দেখে খামিজোর বাবা সেখানে পাথরের মূর্তির রূপ ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছেন।

রেগে দু’জনকেই অনেক গালি দিয়ে বলছেন, তোমাদের ফোন বন্ধ কেন? হাসপাতাল থেকে ডাক্তার ফোন করছে বারবার। তোমাদের না পেয়ে আমাকে ফোন করেছে ওরা। ছোরা (আকাশ)’র অবস্থা বেশি ভালো না। এখনই চলো হাসপাতালে যেতে হবে। ছোরা হচ্ছে মিতুলের প্রথম সন্তানের নাম, যার অর্থ বাংলায়, আকাশ। ছেলের অবস্থা গুরুতর শোনার পর আর ঠিক থাকতে পারেনি তারা। সাথে সাথে সেই অবস্থায় শ্বশুরের গাড়িতে গিয়ে উঠে বসে মিতুল। পিছনে পিছনে খামিজোও আসে।

শ্বশুর গাড়ি চালাতে থাকেন। বাসা থেকে অনেক দূরের পথ সেই হাসপাতাল। যেতে যেতে সকাল। গিয়ে ছোরাকে মিতুল কোলে নেয়। কোলে নিয়ে বলছে তার প্রয়াত জ্যাঠার মতো হয়েছে দেখতে। বড় হলে তাকে ধর্মীয় লাইনে দেয়া হবে। কতো কথা মিতুলের। কিন্তু ডাক্তাররা তাকে এভাবে তার প্রথম সন্তানকে আদর করতে দেখে আগে থেকেই যেন চোখের জল ফেলতে শুরু করেন। এতে মিতুল অবাক হয়। তাকে আর খুলে সব কথা বলছে না কেউ। তাছাড়া এখানেও তারা মিতুলকে বিদেশি বলে ভাষার সমস্যার কথা চিন্তা করে যা বলার সব কথা বলছিলেন মিতুলের শ্বশুরের সাথে।

মিতুল ছোরাকে কোলে নিয়ে আদর করে কথা বলছিল ছোরার সাথে। ছোড়া অনেকটাই হেসে হেসে যেন মিতুলের কথায় তাল মিলায়। এভাবে এক সময় হঠাৎ চোখ বন্ধ করে ছোরা। ছোরাকে এভাবে চোখ বন্ধ করতে দেখে মিতুল মনে করে এর আগেও ছেলে তার সাথে এভাবে খেলা করতে করতে কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছিল, তাই এবারেও হয়তো আগের মতো ঘুমিয়ে গেছে। তা মনে করে খামিজোকে বলল, কোলে নিয়ে বসতে।

তখন কাছে থাকা একজন ডাক্তার এসে ছোরাকে ধরে তার পাল্স পরীক্ষা করে দেখে বললেন, ছোরা আর নেই। এ কথা শুনে মিতুল চিৎকার দিয়ে পুরো হাসপাতাল কাঁপিয়ে তোলে। কাকে কি বলবে সে বুঝতে পারে না। মিতুল তখন একা একাই বিলাপ করতে থাকে। খামিজো তার মৃত সন্তানের লাশ কোলে নিয়ে বসে থাকে।

অন্যদিকে খামিজোর বাবা হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নিতে করণীয় যা কিছু করা দরকার সব করছেন একাই। সকাল দশটার সময় সন্তানের লাশ নিয়ে বাসায় ফিরে আসে মিতুল আর খামিজো। তাদের দু’জনকে বাসায় রেখে শ্বশুর চলে যান তার বাসার উদ্দেশে।

সে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি। এ সময় মিতুল সব বাস্তবতা মেনে নিলেও ভিতরে তার যন্ত্রণা কেবলই ঢুকরে কাঁদে।

(চলবে)

লেখক: জাপান প্রবাসী সাংবাদিক

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার বৈ...

আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এল...

কেশবপুরে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত 

আব্দুর রাজ্জাক সরদার, কেশবপুর প্রতিনিধ:

ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

মোঃ মনির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার :...

জাহাজ উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য ক...

চট্টগ্রামে কারখানায় ভয়াবহ অগুন

জেলা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে একটি জুতার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিক...

ভাড়া নিয়ে হয়রানি করলে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের...

ত্রাণ প্রবেশ করতে দিতে ইসরাইলকে নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ এড়াত...

প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান অনন্যা

বিনোদন ডেস্ক: ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। বাবা-ম...

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলতি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা