সারাদেশ

মুন্সীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ জুন) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের ইসমানিরচর গ্রামের ভুক্তভোগী কয়েকশ পরিবার এ মানববন্ধন করেন। বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মানবন্ধন হয়।

এ সময় ভুক্তভোগী মানববন্ধনে আসা ব্যাক্তিরা বলেন, আমাদের ঘর-বাড়ি মেঘনায় বিলীন হচ্ছে। ভাঙন থেকে বাঁচতে বসত ঘরসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। অথচ বছরের পর বছর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মানে জনপ্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, মন্ত্রীরা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে। এবার বর্ষার পানি বাড়ার সঙ্গে ভাঙনও শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা দরকার।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ইসমানিরচর, হোসেন্দী, নয়ানগর, গোয়ালগাঁও ও চরবলাকী এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভাঙন প্রবণ এলাকা।

২০১৩ সাল থেকে গ্রামগুলো একটু একটু করে মেঘনা নদীতে বিলীন হচ্ছে। ২০২০ সালে ভাঙনের পরিমান তীব্র আকার ধারন করে। মেঘনার ভাঙনে সবচেযে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইসমানিচর গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যে গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে দুইশ পরিবার। যারা আছেন, প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্য দিন-রাত পার করছেন। ভাঙন রোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেওয়া না হলে হোসেন্দী থেকে গোয়ালগাঁও পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা নদীতে হারিয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রকৌশলী সেলিম খাঁন বলেন, প্রায় প্রতি বছরই এসব এলাকা নদী ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন আটকাতে আমরা বারবার একটি বাঁধের দাবি করে আসছি। আমারা একের পর এক আশ্বাস পাচ্ছি। বাস্তবে কোন কাজ হচ্ছেনা। মেঘনা নদীর ইসমানিরচর গ্রাম থেকে গোয়ালগাঁও পর্যন্ত একটি বাঁধ নির্মাণ করা হলে আমাদের সবার বসত ভিটা রক্ষা হবে।নদী ভাঙন রোধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ সময় উপস্থীত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি, প্রকৌশলী সেলিম খাঁন, ইলিয়াস মোল্লা, মোবারক খাঁন, রুহুল আমিন, ডা. সোবহান, মো.হারুন রশিদ, সোহেল রানাসহ ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা।

এর আগে ২০২০ সালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছিলেন, কয়েক বছর পর বাংলাদেশের কোথাও নদী ভাঙ্গন থাকবে না। সে সময় উপমন্ত্রী গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভাঙন প্রবন দেড় কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামুলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত বছরও আমরা ভাঙন প্রবন এলাকা গুলো পরিদর্শন করেছি। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনও ছিল।তারা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এবারও বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। ভাঙন রোধে এখন সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। বর্ষার পরে এলজিইডি সঙ্গে সমন্বয় করে, স্থায়ী কোন প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ২

নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসের চাপায় নিহত হয়েছেন...

খাগড়াছড়িতে গৃহবধুর আত্মহত্যা

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

ফের আসছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দ্বিতীয়বার...

রায়ের কার্যকরী পদক্ষেপ চান ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি...

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত নিরাপত্তা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্...

স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়ে নিহত ১

নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: ফুফু ও বোনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে গিয়ে...

অস্ট্রেলিয়ায় উন্মোচিত হলো বিওয়াইডি সিলায়ন ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্ট্রেলিয়ার মে...

খাগড়াছড়িতে গৃহবধুর আত্মহত্যা

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

চাটখিলে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিলে ধান কাটার রোলার মেশিনে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা