সংগৃহীত ছবি
শিক্ষা

ইবিতে সনাতন পদ্ধতিতে আবেদন, ভোগান্তিতে ভর্তিচ্ছুরা

নজরুল ইসলাম, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ডিজিটাল যুগেও চলছে হাল আমলের সনাতন পদ্ধতিতে এমফিল ও পিএইচডির ভর্তির আবেদন।

আরও পড়ুন : আনহার আহমেদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন

সোমবার শুরু হয়েছে এমফিল ও পিএইচডির ভর্তির কার্যক্রম। আবেদন ফরম কিনতে ও জমা দিতে দূরদূরান্ত থেকে ক্যাম্পাসে স্বশরীরে উপস্থিত হতে হচ্ছে ভর্তি ইচ্ছুকদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আবেদন প্রার্থীরা। এছাড়াও চাকরিরত আবেদন প্রার্থীদের ইচ্ছা থাকলেও আবেদনের ক্ষেত্রে ভোগান্তির কারণে অনেকে আবেদন করতে আসেন না। ফলে সময়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকের সংখ্যাও কমছে। তবে এসব আবেদন প্রক্রিয়া চাইলেই সহজে আধুনিক পদ্ধতিতে করা যায় বলে বলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত এম.ফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ মে) থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখায় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০ জুন এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন : শতবর্ষী বিদ্যালয়ের নাম পুনর্বহালের দাবি

অগ্রণী ব্যাংকের ইবি শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকে এমফিল ও পিএইচডির জন্য পৃথকভাবে ১০০টি করে মোট ২০০টি আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য থেকে আবেদনের প্রথম দুই দিনে ফরম বিক্রি হয়েছে মোট চারটি। প্রথম দিন দুইটি এবং দ্বিতীয় দিনে দুইটি। এভাবে প্রতিবছর এনালগ পদ্ধতির আবেদন নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তি প্রার্থীদের। এক্ষেত্রে সাধারণ আবেদনপ্রার্থীরা নিজেদের সাথে মানিয়ে নিলেও সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন চাকরীরত ভর্তি প্রার্থীরা।

বর্তমান যুগের সাথে এই আবেদন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই যায় না বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা। তারা বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া সেকেলে হওয়ায় অনেকের ইচ্ছা থাকলেও আবেদন করেন না। যার ফলে আমরা গবেষকও কম পাচ্ছি। কিন্তু আবেদনটা যদি অনলাইনে হতো তাহলে আবেদনের সংখ্যাটা অনেক বাড়তো।

আরও পড়ুন : ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল বহাল

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিকায়ন করা যায় এমন অনেক বিষয় জানার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নেয় না। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে সেকেলে পদ্ধতিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বেশি পছন্দ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকায়নের দিকে হাঁটছে, সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকাংশে পিছিয়ে।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, এসব আবেদনতো এখন অনলাইনে সহজেই করা যায়। প্রশাসন যদি আইসিটি সেলকে বলতো তাহলে আবেদন প্রক্রিয়াটা অনলাইনে করে দেওয়া আইসিটি সেলের পক্ষে সহজেই সম্ভব। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি। প্রশাসন যেভাবে চেয়েছে সে প্রক্রিয়াতেই হচ্ছে।

আরও পড়ুন : তাপপ্রবাহে ক্লাশ পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আবেদনের কাজ করার সময় বিষয়টি খেয়াল করা হয়নি। আমরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই নিয়েছি। সুযোগ থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াটি অনালাইনে ব্যবস্থা করা হবে।

সান নিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্...

মোহিতলাল মজুমদার’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

বিটিভি ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দ...

ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নিহত ৩০ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০...

পুলিশকে দুর্বল করতেই হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-...

পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

জেলা প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের জেরে দেশে সৃষ্ট...

হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের সেনাদের টানা কয়েকদিনের বোমার হা...

চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলার আ...

আজ ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকাসহ ৪ জেলায়...

ইসরাফিল আলম’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা