সংগৃহীত ছবি
শিক্ষা

ইবির মেগা প্রকল্পে নয়-ছয়, শাস্তি নির্ধারণে কমিটি

জিসান নজরুল, ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের সোয়া ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গত ১৯ মে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদন খোলা হয়। প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশের বিষয়ে কোন নির্ধারিত ধারা উল্লেখ ছিল না। তাই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সিন্ডিকেট। এছাড়াও কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা ও সুপারিশ অনুযায়ী ইসলামিক ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়ি ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডিসিপ্লিন রুলস-এর আলোকে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল না। তাই সভায় শাস্তির ধারা নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ইবি রোভার স্কাউটের তাঁবুবাস ও দীক্ষা সম্পন্ন

এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম মাহবুবকে আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম ও সদস্য হিসেবে আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান রয়েছেন।

শনিবার (২৫ মে) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা গেছে। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ঈদের পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা

জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের সোয়া ৬ কোটি টাকার ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। পরে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরামসহ বিভিন্ন দফতরে এ সংক্রান্ত একটি উড়ো চিঠি আসে। পরে গত ১২ ডিসেম্বর অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও তিন মাস পর গত ৯ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তিন পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের আর্থিক অনিয়মের সত্যতা মেলে। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও উড়ো চিঠি মাধ্যমে একই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দুদক। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শাস্তি নির্ধারণ কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষ থেকে এখনও চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সান নিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান !

নেপালে তীব্র বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা পদত্যাগের পর দেশটিতে অন্ত...

জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শ...

নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ, বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট স্থগিত, হোটেলেই ফুটবলাররা

নেপালে ‎স্থানীয় সময় আজ দুপুর ৩টায় টিম হোটেল থেকে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিম...

এলইডি স্ক্রিন চালু, ভোট গণনা দেখছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে...

আগে থেকেই সাদিক কায়েমের ব্যালটে ভোটের অভিযোগ রূপাইয়া’র

ডাকসু নির্বাচনে টিএসসির কেন্দ্রে পূর্বে ক্রস দেওয়া ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা