নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাজধানীর শাহজানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল মিয়া। তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে মাংসের দাম সহনশীল পর্যায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে দাম ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আসায় নিম্নআয়ের অনেকেই মাংস কেনেন। কিন্তু হুট করে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় আবারও নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার।
আরও পড়ুন: তেল, চিনি, খেজুরের শুল্ক কমানোর সুপারিশ
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বাসাবো মাদারটেক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গত সপ্তাহে গরুর কলিজা ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ব্রয়লার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে লেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: বিশেষ সম্মাননা পেল ইসলামী ব্যাংক
মাংস কিনতে আসা আলাউদ্দিন আল রাজী জানান, সবকিছুই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনো কিছুর দাম ৫০ টাকা কমলে হুট করে অন্যকিছুর দাম ২০০ টাকা বেড়ে যায়। আবার ২০০ টাকা বেড়ে গেলে নানা চেষ্টার পর ২০ টাকা কমায়। আমরা এগুলোই মেনে চলছি। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নেই।
সান নিউজ/এএন