স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে কেনা-বেচা হয়েছিল মুরগি। অবশেষে সরকারের হস্তক্ষেপে গত দুই দিন আগে কেজি প্রতি প্রায় ৯০ টাকা কমেছে।
আরও পড়ুন : শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
তবে আজ আবার কমানো দামের চেয়ে কেজিতে ২৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে মুরগী। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবজি ও ফলমূলের বাজারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বিগত কয়েক মাস ধরে গরু ও খাসির মাংস মূল্য আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় পোয়ার (২৫০ গ্রাম) হিসেবে বিক্রি হচ্ছে গোশত। বর্তমানে বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্নআয়ের মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন : ইসলামী ব্যাংকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০, যা দুই দিন আগে ছিল ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ এবং বিক্রি হচ্ছে খাসি এক হাজার টাকা কেজি।
এদিকে স্থানীয় ফলের দোকানে গিয়ে দেখা যায় প্রায় একই চিত্র, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, যা কয়েক দিন আগে ছিল ৩০-৩৫ টাকা, কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা। আপেল ৩০০ টাকা, কমলা ২৩০ টাকা কেজিপ্রতি। পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে সব ধরনের খেজুরে ৫০-১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন : গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন
অপরদিকে শীতের শেষ দিকে বাড়তি দামে সব ধরনের সবজি বিক্রি শুরু হয়। যা এখনো বর্তমান। তবে রমজানকে ঘিরে বেশি দাম বেড়েছে শসা, ক্ষিরা, লেবু, মরিচ, গাজর। কোনো সবজিই এখন ৫০-৬০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
সবজি বাজারে দেখা গেছে, পটোল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ৩০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগেই ছিল ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সাজনা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা কেজি দরে । সিম প্রতি কেজি ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০ টাকা, লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা আগে ছিল ২০-৩০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ টাকা।
আরও পড়ুন : ঈদে নতুন টাকা মিলবে ৯ এপ্রিল
এ ছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারি আকৃতির রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৬০ টাকা। জাপানি মাছ প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০ টাকা। মৃগেল মাছ ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। কই মাছ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। পাঙাশও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা।
আরও পড়ুন : নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম-মুরগি
সান নিউজ প্রতিনিধিকে সবজির দাম বৃদ্ধির ব্যপারে ক্রেতা মোহাম্মদ অমিত বলেন, রমজানে সবজির চাহিদাও একটু বেশি হয়। এ জন্য সবজির দামও কিছুটা বাড়তি হচ্ছে। তা ছাড়া এখন সবজির উৎপাদনও কমে গেছে।
মগবাজার এলাকায় বাজার করতে এসেছিলেন সুজাত। প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করেন। তিনি বলেন, সামান্য বেতনে চাকরি করি। কী আর বলব, যেটাতেই হাত দেই, সেটাই গরম। দাম প্রচন্ড চড়া। কোনোভাবে বেঁচে আছি।
আরও পড়ুন : মুন্সীগঞ্জে কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি
মুরগি কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম জানান, গত পরশু ব্রয়লার নিয়ে গেলাম ২০০ টাকা। আজ শুক্রবার ২২০ টাকা চাচ্ছে। বর্তমানে বাজারের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
মাছের বাজারের ক্রেতা শাহজাহান সান নিউজকে বলেন, কি আর বলব ভাই? যে বেতনে চাকরি করি তা দিয়ে বর্তমানে মাংস স্পর্র্শের সাহস করা যায় না। সবজির বাজারে ঘুরছি। কী নিতে পারি। সবজির দামও তো কম না।
সান নিউজ/এইচএন