সান নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার। এর মধ্যে ৪৫ ভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেশ ভাল। পার্শ্ববর্তী ভারত এবং চীন দু’টি বড় বাজার। বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে বিনিয়োগের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি কখন কি বলছেন তার ঠিক নাই
রোববার (২৯ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে নরডিক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন দূতাবাস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অফ ডেলিগেশনের সহযোগিতায় ‘ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফর লজিস্টিক সেক্টর’ শীর্ষক দিনব্যাপী আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মার্কস্ক’র কান্ট্রি ম্যানেজার অংশুমান মুস্তাফি।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নরডিক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট তাহরিন আনাম, এইচএসবিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।
টিপু মুনশি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশে কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে সহজেই অন্যদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সব ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন শক্ত অর্থনৈতিক শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। বাণিজ্য বাড়াতে সরকার প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা গ্রহণ করেছে। শিল্প কল-কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধার টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। লজিস্টিক সেক্টর দেশের আমদানি ও রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে এবং ব্যবসা বান্ধব টেকসই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের মধ্যস্থতা চায় বাংলাদেশ
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ জিডিপি অর্জন সন্তোষজনক ছিল। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আমাদের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যও আমরা প্রস্তুত। আমাদের অবকাঠামো সেক্টরে বিনিয়োগ প্রয়োজন। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে দেশব্যাপী কাজ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর উইনি ইস্ট্রুপ পেটারসেন, নরওয়ের অ্যাম্বাসেডর ইসপেন রিকটার-এসভেন্ডসেন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজেন্ড্রা বার্গ ভন লিনডি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অফ ডেলিগেশন চার্লেস হুইটলি।
সান নিউজ/এনকে